স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর পৌরসভা নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষমতাসীন দলের দুজন কাউন্সিলর প্রার্থীর পুরুষ ও নারী কর্মীদের মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীল বাক্য বিনিময় এবং হুমকি ধামকির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একজন প্রার্থীর পিতা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীর হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষ পর্যন্ত পুলিশকে ছুটে যেতে হয়েছিলো। গতকাল বুধবার বিকেলে শহরের মুজিব সড়কে কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুজ্জামান ইমনের অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লাইজুজ্জামানের ছেলে কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুজ্জামান ইমন অভিযোগ করেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর কবির সুমনের কর্মী ষষ্ঠীতলার নিশান, ট্যারা চঞ্চল ও চায়না মোটরসাইকেলে করে তার নির্বাচনী অফিসের সামনে আসেন। তাদের হাতে হ্যান্ডমাইক ছিলো। তারা সেখানে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে হ্যান্ডমাইকে তাদের সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলেন। এ সময় তিনি তার এক কর্মীকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে বললে টের পেয়ে তারা তাকে বাধা দেন। এ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সুমন গাড়িতে সেখানে আসেন। নিশান, চায়না ও ট্যারা চঞ্চল এ সময় তার পিতা আনিছুজ্জামান মিন্টুকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। তবে সুমনের কর্মী রফিজুল ইসলাম চায়না অভিযোগ করেন, আশরাফুজ্জামান ইমন তাকে মারধর করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একটি সূত্র জানায়, সুমনের গাড়ি থেকে নেমেই তার এক কর্মী ইমনের পিতা আনিছুজ্জামান মিন্টুকে ধাক্কা দিয়েছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় প্রার্থীর শতাধিক পুরুষ ও নারী কর্মী সেখানে ছুটে আসেন। এসময় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনসপেক্টর মো. রোকিবুজ্জামান ফোর্স নিয়ে সেখানে ছুটে যান। এরই মধ্যে কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর কবির সুমন ঘটনাস্থলে এসে মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী লাইজুজ্জামান ও তার স্বামী আনিছুজ্জামান মিন্টুকে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু সমাধানে না গিয়ে প্রার্থী আশরাফুজ্জামান ইমন ওই ঘটনায় মামলা করবেন বলে বলতে থাকেন। পরে সুমন, আশরাফুজ্জামান ইমন, লাইজুজ্জামান ও আনিছুজ্জামান মিন্টু অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় সুমনের কর্মীরা তাদের প্রার্থীর সমর্থনে ¯োগান দেয়া শুরু করলে সাথে সাথে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। দুই প্রার্থীর পুরুষ ও নারী কর্মীরা রাস্তায় প্রকাশ্যে একে অন্যকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। হুমকি পাল্টা হুমকি দেয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সুমন তার কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। পুলিশও তাদেরকে সরিয়ে দিতে সহায়তা করে। চাঁচড়া পুুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনসপেক্টর মো. রোকিবুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে উস্কানিমূলক বাক্য বিনিময়ের কারণে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
