স্টাফ রিপোর্টার : মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের পানিঘাটা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে লুটপাট ও গাড়ি ভাঙচুর করলো আপন ভাই ও আত্মীয় স্বজনরা। শুক্রবার ২ সেপ্টেম্বর বিকাল অনুমান ৫ টার সময় নহাটা ইউনিয়ন পানিঘাটা (খেয়া ঘাট) গ্রামে প্রায় ১০০ শতজন লোকজন রামদা, হাতুড়, শড়কি, ঢাল, ইট, চাইনিজ কুরাল ও পিস্তল নিয়ে, নিছার শেখ এর বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, আলামিন শেখ এর ২ টা লাটাগাড়ি ভাঙ্চুর, নগদ টাকা ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা ও স্বর্নের গয়নার ব্যাগ নিয়ে চলে যায়। একই গ্রামের দাউদ মোল্লা ও আক্তার শিকদারের হুকুমের দ্বারা দূর্বৃত্তরা এই বর্বর কান্ড করে। আসমানী খাতুন, স্বামী- হানিফ শেখ বলেন, আমার ভাই নান্নু শিকদার, চন্নু শিকদার, শিপন শিকদার উভয় পিং- আহম্মেদ শিকদার ও চাচাতো ভাই জিল্লু শিকদার, নান্নু শিকদার এর ছেলে ইমাম আলী সাং- পানিঘাটা এরা এসে হামলা চালায় ও লুটপাট করে। এসময় জিল্লুর শিকদার পিং- হাকীম শিকদার, বিপ্লব শিকদার পিং- ওয়াজেদ শিকদার, শিখায়েত শিকদার পিং- জয়েদ মোল্লা ও হিরক মোল্লা পিং- আকরাম মোল্লা এদের হাতে আগ্নেয় অস্ত্র পিস্তল ছিলো। এছাড়াও প্রিয়া শিকদার, হুমায়ুন শিকদার, জাহাঙ্গীর শিকদার, রহমান, আনোয়ার, শান্ত, শিপন, মিলন সহ প্রায় ১০০ শত জন হামলাকারী লোকজন ছিলো। শম্পা খাতুন, স্বামী- আলামিন শেখ বলেন, শোবার খাটের ডয়ার ভেঙ্গে ব্যাবসার প্রায় নগদ ৪ লাখ টাকা ও সোনার নেকলেস, চেন, কানের দুল, আংটি ও রুলির ব্যাগ নিয়ে যায়। সাথী পারভীন জানায়, আমার ব্যাগে থাকা রুলি, চেন ও নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় জিল্লু, বিপ্লব, শিখায়েত, ইমামুল ও শিপন। জেসমিন খাতুন বলেন, তার ব্যাগে থাকা আংটি, চেন ও নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীর দল। এমন নেক্কারজনক ঘটনার জন্য আসমানী খাতুন পিং- আহম্মেদ শিকদার বলেন, আমার আপন ভাই ও আত্মীয়রা শুধু মাত্র একজন ভালো মনের মানুষ বর্তমান চেয়ারম্যান তুরাপ আলীর দল করি বলে আমার নিজস্ব লোকজন এমন ক্ষতি করলো, এটা ভাবতে খুবই মনে কষ্ট হচ্ছে আর বিষয়টা মেনে নিতে পারছি না। তারা আমার ছোট শিশু তামিম ও সুরাইয়া কে জানে মেরে ফেলতে চেয়ে ছিলো, তাহলে মানুষ এই পৃথিবীতে আপন মানুষকে কিভাবে বিশ্বাস করবে, তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাগুরা প্রশাসনের কাছে দোষীদের শাস্তির জন্য আইনের আওতায় দোষী সাব্যস্ত করে সঠিক বিচারের দাবি জানান। এরপর পানিঘাটা ব্রীজের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে আসামাত্রই হামলাকারী ও লুটপাট কারি লোকজন পালিয়ে যায়। হামলার এ ঘটনায় নহাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তোরাপ আলী বলেন, এলাকার প্রভাবশালী মহলের উস্কানীমূলক প্ররোচনায় ও ইঙ্গিতে দাঙ্গাবাজ লোকজন নিরীহ ও ভালো মানুষের বাড়িঘর ভাঙচুর, লোকজনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম, লুটপাট ইত্যাদি নানারকম অপকর্ম চালাচ্ছে। তিনি এই বর্বরিত হামলা বন্ধ ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির জন্য মাগুরা জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।