মাগুরা প্রতিনিধি : স্ত্রী মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে আটক সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের বাবা এবং ছোট ভাইসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পুলিশের পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।
২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ঢাকার ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে প্রবাসে থাকা আলোচিত-সমালোচিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনকে।
এছাড়া অপর তিন আসামি হলেন- কারাবন্দী বাবুল আকতার, তার বাবা আবদুল ওয়াদুদ মিয়া এবং ছোট ভাই মাগুরা বারের আইনজীবী হাবিবুর রহমান লাবু।
পিবিআই প্রধানের মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বাবুল আকতারসহ অপর আসামিদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্ররোচণায় মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করাসহ বাংলাদেশ পুলিশ এবং পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রবাসে থাকা ‘কথিত’ সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ফেসবুক ও ইউটিউবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করেন।
এজাহারে ইলিয়াসের বলা ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ৪২ মিনিট ২১ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপের বিভিন্ন অংশের ব্যাখাও দিয়েছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।
বনজ কুমার মজুমদার মামলার এজাহারে বলেছেন, ‘বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে তদন্তাধীন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধসহ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে উল্লেখিত ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। প্রচারিত ওই ভিডিওতে ইলিয়াস হোসাইন দেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের উস্কানি দিয়েছেন। এছাড়াও বাংলাদেশে পুলিশ এবং বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পিবিআই এবং আমার ব্যক্তিগত মান সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ঘটনার পর বাবুল আকতার চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাবুল আকতারকেই গ্রেফতার করা হয়।