মাগুরা প্রতিনিধি\ মাগুরা মোম্মাদপুর উপজেলার বড়রিয়া গ্রামে আবু বক্কার ধনীর মৃত্যুর ১০দিন পর মা ছেলের নাটক শুরু হয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানায়.বড়রিয়া গ্রামের ধনি বক্কার ওরফে আবু বক্কার শেখ (৫৬)গত ২রা অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে স্ট্রোক জনিত কারনে মৃত্যুবরণ করেন।তিনি স্ত্রী ৩ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্যগুনগ্রাহী রেখে গেছেন।আবু বক্কার ধনি ৩০ বছর সৌদি আরবে চাকরী করছিলেন।এত দীর্ঘ দিন বাইরের দেশে থাকার সুবাদে স্ত্রী ও সন্তানরা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। তার বড়সন্তান সিজান মাহমুদ সাগর নেশার জগতে মাদকাশক্ত হয়ে পড়ে। পাঠিয়ে ছিলেন তাকে ঢাকার একটি ভাল কলেজে পড়াশোনার জন্য। সেখানেও সাগর থাকতে পারেনি।এদিকে স্ত্রী ও পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তাদের সবার কথা মাথায় চিন্তা নিয়ে গত ৬মাস পূর্বে দেশে আসেন আবু বক্কার শেখ।এর মাঝে বড় সন্তান সিজান মাহমুদ সাগর বিয়ে করে সেখানে দামপত্য কলহের বিবাদ হয়। ঘটনার দিন সাগরের শশুর বাড়ির লোকজনদের নিয়ে অর্থাত আত্বীয় স্বজনরা শালিষ বৈঠক করেন সারা রাত। এদিকে সাগরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমার বাবার মৃত্যুর সময় আমি একই বাড়িতে ছিলাম অন্য রুমে কিন্ত মা আমাকে ভোরের আজানের কিছুক্ষন আগে মৃত্যুর সংবাদ জানিয়েছেন। ঐ দিন সকালে সাগরের মা স্থানীয়দের কাছে ষ্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে এ কথা জানান। এদিকে মৃত্যুর ১০দিন পর গত ১১ই অক্টোবর আবু বক্কার ধনির বড় ছেলে সাগর আদালতে মা সীমা পাভিনসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। স্থানীয়রা বলেন আবু বক্কার শেখ এক সময় ইটের ভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। টাকার জন্য তিনি অনেক কষ্টে সৌদি আরবে যেয়ে টাকার পাহাড় গড়েছেন। স্ত্রী সন্তানদের সুখের কথা চিন্তা করে তাদের মুখের খাবারের সন্ধানে বিদেশে এত কষ্ট করে জায়গা,জমি ,মার্কেটসহ অনেক কিছু করছিলেন তিনি। এজন্য তার নাম আবু বক্কার ধনি নামে ডাকতেন সবাই।তবে এলাকাবাসী সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার দাবী করেন। তবে বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য?