শালিখায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে আছে নিন্মাঞ্চলের ফসলি জমি। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
এছাড়া প্রবল বৃষ্টিতে শালিখা উপজেলার সেওজগাতি, আড়পাড়া, কালিবাড়ী, থৈপাড়া, ধনেশ্বরগাতি, শতখালী, শালিখা, গঙ্গারামপুর, বুনাগাতি, বরইচারা নোরোপ্রতিসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পাকা ও আধাপাকা ধান জমিতে নুয়ে পড়েছে৷ জমিতেই ভাসছে কৃষকের পাকা ধান।
এতে ব্যাপক ক্ষতি ও চরম হতাশায় পড়েছেন কৃষক৷ এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে শীতকালীন সবজি, পালংশাকের ছোট ছোট চারা, ফুলকপি, বাধাকপি, টমেটো এবং মুলাসহ বিভিন্ন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সদ্য লাগানো পালংশাক এর চারা পানিতে ডুবে গেছে।
উপজেলার সেওজগাতি গ্রামের মহেন্দ্র নাথ মিত্র জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পাকা ধানের ক্ষেত জমির পানিতে নুয়ে পড়েছে৷ এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷
তালখড়ি গ্রামের ময়েন গাজী জানান, সিত্রাং ঝড় ও বৃষ্টির কারণে পাকা ধান জমিতে ভাসছে৷ ধানসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।
দীঘলগ্রামের প্রশান্ত বিশ্বাস জানান, ফুলকপি,পাতাকপি,পালংশাকসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেতগুলোতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে ঝড় ও বৃষ্টির পানি বৃদ্ধির কারণে।
এছাড়াও কয়েকটি ধানের ক্ষেতের পাকা ধান ও ফোলা ধান পানিতে নুয়ে পড়েছে এবং সরিষা ক্ষেতও পানিতে ভাসছে৷ উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়ন ব্লক সুপার ভাইজার সঞ্জয় কুমার জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারনে ধান জমিতে হেলে পড়েছে৷ কিছু কিছু স্থানে ধানসহ বিভিন্ন ফসলি জমিতে পানি জমে আছে৷ এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ এই রিপোর্ট প্রাথমিক। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনই বলতে পারব না।