বিশেষ প্রতিনিধি : মাগুরা শালিখা উপজেলার বুনাগাতি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের দীর্ঘ দেড় বছর পূর্বের আপত্তিকর ভিডিও চিত্র নিয়ে ব্লাকমেইল করে টাকা নেওয়ার সময় মাগুরা সদর থানা পুলিশের কাছে হাতে-নাতে ধরা পড়ে বখাটে ছেলেরা। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার ৯ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৫ টার সময় অনুসন্ধান রিপোর্টে বেরিয়ে আসে মূল আসল ঘটনার রহস্য প্রায় দেড় বছর পূর্বে বুনাগাতি ইউনিয়নের বাউলিয়া গ্রামের নিবেদিতা (২২) ফরিদপুর সারদা সুন্দরী কলেজের অর্নাস ২য় বর্ষের ছাত্রী ও বাউলিয়া গ্রামের সম্ভবত স্বাস্থ্য কমিউনিটি হেলথে চাকরি করে ১ সন্তানের জনক শিমুল (৩৫) এই ঘটনার প্রধান উৎপত্তি মানুষ। ঘটনার বিশস্ত সূত্র থেকে জানা যায় প্রায় দেড় বছর পূর্বে নিবেদিতা ও শিমুল দুজনেই গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এরপর তারা সম্ভবত হোটেল অথবা কোন নির্জন বাড়ির ঘরে বিছানার উপর আপত্তিকর সেলফি ভিডিও ধারণ করে। আর এই আপত্তিকর ভিডিওটি নিবেদিতা কিছু দিন পর তার বান্ধবী বুনাগাতি ইউনিয়নের ছাবড়ি গ্রামের টুম্পা (২২) এর মোবাইল ফোনে ম্যাসেন্জারে পাঠিয়ে দেয়, টুম্পা হলো নিবেদিতার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী সেও সারদা সুন্দরী কলেজে লেখাপড়া করে। টুম্পা সেই আপত্তিকর ভিডিও চিত্রটি তার বয়ফ্রেন্ড শোভন বিশ্বাসের ম্যাসেন্জারে পাঠিয়ে দেয়। শোভন বিশ্বাস (২৫) তার বাড়ি বুনাগাতি ইউনিয়নের হাটবাড়িয়া গ্রামে সে প্রভাস বিশ্বাসের ছেলে এবং সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ফরিদপুর থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ হতে অর্নাস ডিগ্রি পাশ করেছে। শোভন বিশ্বাস সেই আপত্তিকর ভিডিওটার কথা জানায় হাটবাড়িয়া গ্রামের বুনাগাতি বাস স্ট্যান্ডের মাছুম (৩০) নামের এক ছেলেকে। মাছুম ছলেবলে চালাকি পন্থা অবলম্বন করে সেই ভিডিও নিয়ে নেয় তার মোবাইল ফোনে। মাছুম সেই আপত্তিকর ভিডিও হাটবাড়িয়া গ্রামের ভোলা মজুমদারের ছেলে তন্ময় মজুমদারের কাছে দেখায়। তখন মাছুম ও তন্ময় ব্লাকমেইল করে নিবেদিতার প্রেমিক শিমুলের ফোনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেই আপত্তিকর ভিডিও চিত্র পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা-পয়সা লেনদেনের কথা বলে। তখন শিমুল বাধ্য হয়ে নিজের ও নিবেদিতার মান-সম্মান বাঁচাতে বাধ্য হয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দেয় মাছুম ও তন্ময়ের কাছে। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু দিন পূর্বে আবারও মাছুম ও তন্ময় গ্রুপের কিছু লোকজন শিমুলকে মানসিক চাপ প্রয়োগ করে আবারও টাকা চাই। তখন শিমুল বলে আমি মাগুরা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে দিচ্ছি, এই বলেই সে ঘটনাটি মাগুরা সদর থানার তদন্ত ওসি গৌতম ঠাকুর কে বিষয়টি জানালে ওসি তদন্ত দ্রুত মাগুরা শহর থেকে টাকা নিতে আসা কয়েকজনকে ধরে নিয়ে থানায় নিয়ে আসা। এরপর তদন্ত ওসি টুম্পার বয়ফ্রেন্ড শোভন বিশ্বাস কে ধরে নিয়ে এসে তার বাবা ও কাকার কাছে থেকে গোপনে নগদে ৩০ হাজার টাকা নেয় এবং তার টাচস্ক্রীন রেডমি মোবাইলটি জব্দ করে এবং বলে ১ সপ্তাহ পর মোবাইল ফোন ফেরৎ দেওয়া হবে কিন্তু প্রায় ১৫-২০ দিন হয়ে যাচ্ছে তবুও শোভন বিশ্বাস তার মোবাইল ফোনটা এখনও হাতে পাই নাই। এ বিষয়ে ওসি তদন্ত গৌতম ঠাকুর দৈনিক সমাজের কথা কে জানান এটা একটা ব্লাকমেইল পার্টি এবং তাদের ধরে নিয়ে এসে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মোবাইল ফোন এখনও ফেরত দেওয়া হয়নি তবে ২০ হাজার টাকা দিলে ফোন ফেরত পাবে। আর তা না হলে এই ছেলেরা এই ভিডিওর জন্য ভবিষ্যতে বিরাট বিপদের সম্মুখীন হবে। এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন কোন মালামাল জব্দ হলে সেটা থাকবে এসআই ইয়ার এর কাছে তবে এই ব্ল্যাকমেইল পার্টির টাকা আত্মসাৎের খবর আমার জানা নেই, তবে বিষয়টি সম্পর্কে আমি বিস্তারিত খোঁজ খবর নিচ্ছি।