স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনকে নিয়ে মঙ্গলবার প্রেসক্লাব যশোরে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক পক্ষ জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ এবং অপরপক্ষ তা সঠিক নয় বলে দাবি করে।
প্রথম সংবাদ সম্মেলনে যশোরে সদর উপজেলার হামিদপুরের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান অভিযোগ করেন, যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামে ৩০ বছর আগে শিল্প ব্যাংক থেকে দশ একর জমি ক্রয় করেন। তখন থেকেই ওই জমিতে পরিবার নিয়ে বসবাস ও চাষাবাদ করছেন। গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমি ও আমার ছেলেরা কলাগাছ রোপণ করতে যাই। এ সময় হঠাৎ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের নেতৃত্বে ১২-১৫জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে উপস্থিত হন। এ সময় শহিদুল ইসলাম মিলন ওই জমি তার বিয়াই নুরুল ইসলামের দাবি করে দখলের চেষ্টা করেন। বাধা দিতে গেলে শহিদুল ইসলাম মিলনের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ও ছেলে জাফরীকে শর্টগান দিয়ে আঘাত করে। এতে জাফরীর মাথায় ক্ষত সৃষ্টি হয়। এ সময় আমি ও আমার ছেলে আহতের সংবাদ পেয়ে গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ওই জমিতে থাকা বিভিন্ন প্রকার ফলদ, বনজ ওষধি গাছ কেটে সাবাড় করে দেন শহিদুল ইসলাম মিলন ও তার বাহিনী। তারা ওই জমি দখলের জন্যে বিভিন্ন সময় মারপিটসহ হত্যারও হুমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় গত ৭ ডিসেম্বর কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। তিনি প্রশাসনের কাছে বিষয়টির সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তার ছেলে আফরুজ্জামান,আরমান, ভাই আলমগীর কবির, আত্মীয় ইদ্রিস আলী, শুকুর আলী প্রমুখ।
আসাদুজ্জামানের সংবাদ সম্মেলনের কিছু সময় পর শহিদুল ইসলাম মিলনের বেয়াই মাস্টার নুরুল ইসলাম পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন। তার পক্ষে আইনজীবী শাহরিয়ার বাবু দাবি করেন, সোমবারের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি বলেন, তার মক্কেল নুরুল ইসলামের জমি দখল করতে যান আসাদুজ্জামান ও তার লোকজন। এ সময় জমির বৈধ মালিকরা বাধা দিলে এই ঘটনা ঘটে। আসাদুজ্জামান নিলামের মাধ্যমে ক্রয়কৃত জমির বাইরেও নুরুল ইসলামের প্রায় ৩৫ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখল করে আছেন তারা।