প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আমরা সবাই স্বীকার করি, এই প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। আমরা যে যেখানে সেই কাজই করি না কেন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য জনগণের সেবা করা।
আজ সকালে চুয়াডাঙ্গা আদালত প্রাঙ্গণে আগত বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে এসব কথা বলেন তিনি। এরপর আদালত প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণসহ জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে মতবিনিময় করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, গত সুপ্রিম কোর্ট দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আমরা বলেছি, এতোদিনে যে মামলা জট হয়েছে, এই জট কমাতে আরও প্রায় ৫ হাজার জুডিসিয়াল অফিসার দরকার। আমি আসার পরপরই একটি সার্কুলার ইস্যু করি, পুরনো মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পতির ব্যবস্থা করি। সারাদেশে গত এক বছরে ডিসপোজালের রেট আগের বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আমাদের যে কয়জন অফিসার আছেন তারা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, হাইকোর্ট বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং সদস্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (ঢাকা) বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম, চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দার, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুসরাত জেরিন, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুর রহমান শিশির, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক, অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি সাগরসহ জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।