গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল বাজারের এক দোকানির কাছ থেকে কিছু স্কুল পড়ুয়া ১৩/১৪ বছরের কিশোর ছেলে মোটর সাইকেল ভাড়া চাইতে গেলে দোকানি রুবেল হোসেন (৩০) অধিক মুনাফা লাভের আশায় নির্ধিদ্বায় মোটর সাইকেল তাদের কাছে ১০০০ টাকার বিনিময়ে ভাড়া দিয়ে দেন। এই কিশোরদের মধ্যে মেহেদী হাসান শান্ত (১৪), প্লাবন শেখ (১৪) ও অসীম ফারুক (১৪) তারা সকলেই জুকা নুরুজ্জামান হাই স্কুলের ছাত্র, সবেমাত্র ৭ম শ্রেণী থেকে ৮ শ্রেণীতে উর্ত্তীর্ণ হয়েছে, একজনেরও ড্রাইভিং লাইসেন্স তো দূরের কথা কেউ ঠিক মতো সাইকেলই চালাতে পারে না।
ঐদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরার পরে বেলা ৩ টায় টিকারবিলা বাজারের মধ্যে আসলে প্লাবন শেখ গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং পাকা রাস্তার উপর মোটরসাইকেলসহ ৩ জনই পড়ে যায় । এতে নাকোল গ্রামের আছাদুজ্জামানের পুত্র আসিম ফারুক মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে, তার সামনের দুইটি দাঁত ভেঙে মাটিতে পড়ে যায় এবং থুতনির হাড় ভেঙে রক্তাক্ত জখম হয়। বর্তমানে সে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এদিকে, আসিম ফারুকের দুর্ঘটনার কথা শুনে তার দাদি হার্ট এটাক করে মৃত্যুবরণ করেন, এনিয়ে ভুক্তভুগি পরিবারে একটি হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আহত আসিম ফারুকের পিতা আছাদুজ্জামান জানান “এই কোমলমতি কিশোরদের কাছে তাদের অভিবাবকদের অনুপস্থিতিতে মোটর সাইকেল ভাড়া দিয়ে, এই বাচ্চাদের মূলত মৃত্যর দিকে এগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদের কারোরই কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নেইও কেই কখনো মোটর সাইকেল চালায়নি । আমার ছেলে যে আজ জীবনে বেঁচে গেছে এটা তার সৈভাগ্য। ”
অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই মোটর সাইকেলের প্রকৃত মালিক দুর্গাপুর গ্রামের শুকুর লস্কর, ঐ দিন সে মোটর সাইকেলটি ভাড়া দেওয়ার জন্য নাকোল বাজারের রুবেল ইসলামের দোকানে দিয়েছিলো। বর্তমানে মোটর সাইকেলটি নাকোল পুলিশ ফাঁড়িতে আটক রয়েছে। প্রতক্ষদর্শীরা জানান, শুকুর লস্কর ও রুবেল ইসলামকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক , যাতে অদূর ভবিষ্যতে এরা যেন কোনো অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল পড়ুয়া ছেলেদের কাছে মোটর সাইকেল ভাড়া দিতে না পারে। এদের মতো লোভী মানুষদের কারণে সড়কে প্রতিবছর অসংখ্য মায়ের বুক খালি হয়। বিষয়টি নিয়ে আছাদুজ্জামান মাগুরার শ্রীপুর থানায় গত ২ মার্চ একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।