মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মৌলভীজোকা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পলিটেকনিক ছাত্র মেহেদী হাসান পাভেল(২০) হত্যা মামলার রায়ে এক জনের ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে অরিরিক্ত দায়রা জজ আদলতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন।
নিহতের পিতা রেজাউর রহমান রিজু ৭ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১৪ জনের স্বাক্ষ শেষে দীর্ঘ ১০ বছর পর প্রধান আসামী সেলিম আজাদকে ফাঁসির আদেশ প্রদান করেন আদালত। এছাড়া অপর ছয় আসামী রুমা পারভীন, মোমেনা খাতুন, আবীর হোসেন, সাইদুর রহমান, জাকির হোসেন ও মোঃ খালিদকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমান করা হয়। অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কার দন্ড প্রদান করা হয় তাদের।
মৃত্যু দন্ড প্রাপ্ত আসামী হলেন অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আজাদ। অন্যদিকে লিমার রায় বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু আদালতে ঘোষনা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৬ আগস্ট রাত ৯টার দিকে পলিটেকনিক ছাত্র মেহেদী হাসান পাভেলকে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী সেলিম আজাদ ও তার সহযোগিরা। তার পর থেকে সে নিখোঁজ থাকে। ঐরাত ৩টার দিকে প্রধান আসামীর বাড়ির পাশে তার ক্ষত বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। জানা যায় প্রধান আসামীর কন্যা লিমার সাথে নিহত পাভেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তার জের ধরে এ হত্যা কান্ড ঘটানো হয় ।
হত্যাকন্ডের পরদিনই নিহতের বাবা বাদি হয়ে মাগুরা মহম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
রায়ের বিষয়ে রাষ্ট পক্ষের আইনজিবি এ্যাডভোকেট মো: আবুল বক্কার জানান, সকল আসামী এ হত্যা কান্ডে জড়িত থাকার অপরাধে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালত তাদেরকে সন্ধেহতীত ভাবে এ রায় ঘোষনা করেছে।
তবে রায়ের বিষয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মো: রোকনুজ্জামান খান জানান, এই মামলার কোন আইন গত ভিত্তি ছিলো না। শুধু মাত্র প্রাথমিক তথ্যর উপর ভিত্তি করে রায় দেয়া হয়েছে। আমরা অবশ্যই উচ্চ আদালতে রায়ের বিষয়ে আপিল করবো।