মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের ইছাখাদা গ্রামের ড্রাম ট্রাক চালক লিমন শেখকে মারাত্মক ভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে একদল সন্ত্রাসী লোকজন। মাগুরা সদর থানার ৩০৫৫ মামলার সূত্র থেকে জানা যায় গত শুক্রবার ১৯ মে অনুমান সন্ধ্যা ৭ টার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইছাখাদা (খাসপাড়া) গ্রামের মন্নু শেখের ছেলে মোঃ লিমন শেখ (২৬) বাড়ির পূর্বপাশে মেহেগুনী বাগানের ভিতরে নিয়ে, পিতা মো: মন্নু শেখের লিচু বিক্রির ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও মোঃ লিমন শেখ আলহাজ্ব মো: হাসিবুল ইসলামের ড্রাম ট্রাক গাড়ি চালক যাহার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ট-১৫-১৭৫৩ গাড়িটি লিটন মোটরের কিস্তি থাকাই মালিক গাড়ির কিস্তি বাবদ তাহার কাছে ১ লাখ টাকা দেয় সব মিলিয়ে লিমনের কাছে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ১৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট নিয়ে যায়। লিমন কে, ৭ লোক জন রাস্তার উপর থেকে ধরে নিয়ে মেহেগুনী বাগানে নিয়ে গেলে লিমন দুইজন সন্ত্রাসীকে চিনে ফেলে মো: মাসুদ জোয়ার্দ্দার (৩৫) পিতা, মো: হাবিব জোয়ার্দ্দার, মো: শহিদুল ইসলাম (মধু) (৩৮) পিতা- মৃত শমসের জোয়ার্দ্দার উভয় সাং-ইছাখাদা, থানা-জেলা- মাগুরা অজ্ঞাত আর ও ৪/৫ জন ছিলো। সবাই মিলে যখন ভিকটিমের কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করে নেয়ার চেষ্টা করে তখন লিমন টাকা দিতে রাজি না হয় মাসুদ জোয়ার্দ্দার বলে শালা টাকা না দিলে তোকে জীবিত রাখবো না। এই বলিয়া তাহার মাজাই থাকা ধারালো ছ্যানদা বাহির করিয়া লিমনের হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ মারিলে উক্ত কোপ মাথার ডানপাশে পিছনের দিকে লাগিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়, সেখানে ৪ টা সেলাই। পুনরায় তাহার হাতে থাকা ধারালো ছ্যানদা দিয়ে কোপ মারিলে উক্ত কোপ মাথার বাম পাশে পিছনের দিকে কান সোজা লাগিলে সেখানেও ৩টা সেলাই লাগে ছিনতাইকারী শহিদুল ইসলাম মধু তাহারা হাতে থাকা ধারালো ছ্যানদা দিয়ে মাথার মাঝ বরাবর আঘাত করে সেখানে ৬ টা সেলাই এবং আরো অজ্ঞাত ছিনতাইকারী তাদের হাতে থাকা লোহার রড, বাঁশের লাঠি,ও হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি জখম করে। পরবর্তীতে লিমনের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে নেই ভিকটিমের কান্নাকাটি চেঁচামেচি শুনিয়া পাশে থাকা মো: সুমন শেখ, মো: শিমুল শেখ, মো: ওসমান শেখ, ও মো: চাঁন মিয়া এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। ভিকটিমের মাথা, হাত, পা ও শরীরর বিভিন্ন স্থানে আঘাত পাওয়ার ফলে আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত ব্যাটারিচালিত ভ্যানযোগে চিকিৎসার জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে আনিয়া ভর্তি করেন। ভিকটিম লিমন এখন মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এই নেক্কারজনক ঘটনার জন্য ওসমান শেখ, হাজরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সেলিম শেখ, ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেস আলী, মেম্বার রুহুল আমিন বাবু এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত প্রশাসনের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি কামনা করেন।