লোকসমাজ ডেস্ক॥ ঢাকায় এক বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করে বলেছেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। কিন্তু ২০২৪ সালে দেশে আর একতরফা নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। দেশের গণতন্ত্র, বাক্স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের জন্য সাংবাদিকেরা লড়াই করবেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমীন গাজী বলেন, দেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়। কিন্তু সরকার আরেকটি একতরফা নির্বাচন করতে যাচ্ছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আর কোনো একতরফা নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নেবে না। দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের সঙ্গে সাংবাদিকেরাও আছেন। গণতন্ত্রের জন্য সাংবাদিকেরা লড়াই-সংগ্রাম করে যাবেন।
বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতারের সমালোচনা করেন রুহুল আমিন গাজী। তিনি বলেন, পুলিশ বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রেফতার করছে। কিন্তু সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকা-ের তদন্ত শেষ হয় না।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ডিইউজের সভাপতি সহিদুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন পুলিশের রাবার বুলেট ও সরকার–সমর্থকদের হামলায় সাংবাদিকেরা আহত হন। কিন্তু দায় চাপানো হয়েছে বিএনপির ওপর।
ডিইউজের সাবেক সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, দেশ এখন গণমাধ্যমের জন্য নিরাপদ নয়। দেশে মানুষের স্বাধীনতা ও বাক্স্বাধীনতা নেই। ক্ষমতাসীন দলের লোকজন লুটপাট করে খাচ্ছে। সবাইকে রাজপথে নেমে এসে এই সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া এ অবস্থার উত্তরণ সম্ভব নয়।
সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা আওয়ামী লীগের টানা তিন সরকারের মেয়াদকালে কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করেন। তাঁরা বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা রকম কালো আইন তৈরি করে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন করছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যম বন্ধ করে সাংবাদিকদের কর্মহীন করছে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন রোকন, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, সহসভাপতি রাশেদুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।