সুদখোরদের অত্যাচারে লাভলি সরকার (৪৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯ টা ৫ মিনিটে যশোর ২৫০ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনার পর ডাক্তার মিঠুন কুমার দে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাভলি সরকার যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কাঠমিস্ত্রি রবিউল ইসলাম রবির স্ত্রী। তার মৃত্যুর জন্য কে কে দায়ী তিনি তারবাম হাতে ওই তিনজনের নাম মৃত্যুর আগে লিখে রেখে গেছেন।
যাদের নাম লিখে গেছেন তারা হলেন-একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী পারুল, শুকুর আলীর স্ত্রী ববিতা ও নুর আলীর স্ত্রী রুমা। পারুল ৬০ হাজার টাকার লোন দিয়ে দেড় লাখ টাকা দাবি করেছেন। ছেলে নিশাতের দাবি পারুলের টাকা সব পরিশোধ হয়ে গেছে তারপরেও দাবি করছে। ববিতার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা পরিষদের পরেও আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করছে। রুমার কাছ থেকে টাকা না নিলেও ওই সুদখোররা তার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে বলে প্রচার চালিয়েছে। এসব টাকা দিতে না পারাই তার (লাভলি সরকারের) ঘরের তালা বদ্ধ করে দেয়। একটি পোল্ট্রি ফার্ম করছিল তার বিদ্যুতের বৈদ্যুতিক লাইট গুলো ভেঙ্গে দেয় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।ভাঙচুরও চালাই। সুদখোর সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় লাভলীর দু ছেলে আরাফাত ও নিশাত প্রাণ ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এভাবে সুদখোররা অত্যাচার করার কারণে লাভলি সরকার গলায় ফাঁসি আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে তার বাম হাতে সুদখোর অত্যাচারীদের নাম লিখে রেখেছেন লাভলি সরকার। কোতোয়ালি থানার এস আই ইয়াসিন আকবর জানিয়েছেন, তার ছেলে যে অভিযোগ করেছে তা তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।