জাবি প্রতিনিধি:
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলি বলেন, ‘জাবি প্রশাসন যেহেতু মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করাসহ অন্যান্য দাবির বিষয়ে সমাধান করতে পারছে না, তাই আমরা আচার্যকে আহ্বান জানাই জাহাঙ্গীরনগরের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। উপাচার্য আমাদেরকে বলেছেন- মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বের করার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন কিন্তু পারেননি। এতে তারা যে ব্যর্থ সেটা প্রমাণ করে। প্রশাসনকে বলবো আপনারা নিজেদের পদ থেকে সরে যান।’
অবরোধ চলাকালে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, প্রশাসনের দেওয়া পাঁচ কর্মদিবস পার হয়ে গেলেও আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। অছাত্রদেরকে বের করা-তো দূরে থাক বরং প্রশাসন তাদেরকে নিয়ে ভাগবাঁটোয়ারার মিটিং করছে প্রতিনিয়ত। আমাদের ন্যায্য দাবি না মানা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো- জাবিতে গত ৩ ফেব্রুয়ারির গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ও সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান, আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করা, নিপীড়নের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলমের অপরাধ তদন্ত করা এবং তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া, যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত পাবলিক হেল্থ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করা এবং ক্যাম্পাসে মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
দাবিগুলো আদায়ের লক্ষে আজ মঙ্গলবার দুই ঘণ্টার অবরোধ চলবে বলে ঘোষণা দেয় নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ।