বিল্লাল হোসেন: কোনো ডিগ্রি না থাকলেও যশোরে মিনহাজুর রহমান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিজেকে বড় মাপের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। শহরের মডার্ণ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সাইক্রিয়েটিস্ট ডা. সালেমির হোসেন চৌধুরীর চেম্বারে বসে তিনি এমন প্রতারণা করে চলেছেন। সেন্টারটিতে অনলাইনে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষজন না বুঝে তার খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়ে বাড়ি ফিরছেন। গত ১২ মে শহরের বেজপাড়ার সেলিম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি সিভিল সার্জনের কাছে এমন একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, মিনহাজুর রহমান ডিগ্রিধারী কোনো চিকিৎসক না। তিনি সাইক্রিয়েটিস্ট ডা. সালেমির হোসেন চৌধুরীর সহকারী। প্রতি শুক্রবার ডা. সালেমির হোসেন চৌধুরী মডার্ণ হসপিটালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে অনলাইনের মাধ্যমে কথা বলে ব্যবস্থাপত্র দেন। মিনহাজুরের দায়িত্ব অনলাইনে রোগী দেখার সময় ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্রে ওষুধ লেখা।
অভিযোগে বলা হয়, মিনহাজুর রহমান অনেক সময় নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করেন। তিনি ডা. সালেমিরের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্রে ওষুধ না লিখে নিজের পছন্দের কোম্পানির ওষুধ লিখে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এসব করে তিনি ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে বিভিন্ন উপঢৌকন লুফে নিচ্ছেন। মিনহাজুর রহমান ডাক্তারের সহকারী হওয়ার সুবাদে এভাবে রোগীদের সহজে ফাঁদে ফেলছেন। তার ভাবখানা এমন যে, বড় মাপের একজন চিকিৎসক তিনি।
এ বিষয়ে গত রোববার মোবাইল ফোনে মিনহাজুর রহমান জানান, স্যারের (সালেমির চৌধুরী) নির্দেশনার বাইরে তিনি নিজেরে ইচ্ছামতো কোনো রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লেখেন না। এ ছাড়া ডাক্তার সেজে রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগও মিথ্যা। তিনি শুধুমাত্র ডা. সালেমির চৌধুরীর সহকারীর দায়িত্ব পালন করেন ।
যশোরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক জানান, মিনহাজুর রহমানের চিকিৎসক পরিচয়ে প্রতারণার বিষয়টি জানতাম না। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।