মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) ডাঃ মোঃ আশরাফুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি সরকারী দায়িত্ব পালনে চরম গাফিলতি করেন এবং সরকারি হাসপাতালে অপারেশনেও টাকা বা ফিস নিয়ে থাকেন। এজন্য মাগুরা জেলা প্রশাসক কর্তৃক একাধিকবার ধমকের শিকার হয়েছেন।
তিনি হাসপাতালের ডিউটি ফাঁকি দিয়ে রাত দিন প্রাইভেট ক্লিনিকে অপারেশনে ব্যস্ত থাকেন। এতে করে হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হন।
তিনি অবৈধ পথে অর্জিত অর্থে মাগুরা শহরে ১০ তলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। যার মূল্য ৫ কোটি টাকা। এই টাকার কোন বৈধ আয়ের উৎস নেই।
তিনি আজ প্রায় ৪ বছর মাগুরা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। বারবার বদলী করা হলেও তিনি মাগুরা ছেড়ে যেতে চান না। ঢাকার বড় রড় নেতা ও মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ঘুস খাইয়ে বারবার বদলী আদেশ রহিত করেন।
তার বিরুদ্ধে অতীতেও এধরনের অভিযোগ ওঠে। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকুরী করা কালে নানা পথে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় তাকে মাগুরায় বদলী করা হয়। তখন তিনি গাংনী থেকে পালিয়ে চলে আসেন।
আরো জানাযায়, ২০২৩ জানুয়ারি হতে এপ্রিল পর্যন্ত মাগুরা জেলার ৪ টি উপজেলার প্রায় ১ হাজার গ্রাম ডাক্তারদের প্রাইমারী হেলথ কেয়ার নামে ১ মাস ২১ দিনের একটি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। মাগুরা,শালিখা,শ্রীপুর ও মোহাম্মদপুর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাগন এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন। অর্গনাইজিং এর দায়িত্বে ছিলো বেসরকারী সংগঠন-এ হোপ ( বিভিডি ডব্লিউএফ) রেজি: নং ঢা ০৪৮৬২।
প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র বিতরণকালে মাথাপিছু ৮ হাজার ২ শত টাকা হারে আদায় করা হয়। দেখা যায় এই সনদপত্র বিতরণকালে প্রায় ১ হাজার গ্রাম ডাক্তারের কাছ থেকে মাথা পিছু ৮ হাজার ২ শত টাকা হারে তুলে প্রায় ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর এই কান্ডের নাটেরগুরু ছিলেন ডা: মো: আশরাফুজ্জামান লিটন।
সরকারী দায়িত্ব পালনে অবহেলা, বেসরকারি ক্লিনিকে অপারেশন করা, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও আয়া এবং নার্সদের সাথে দূরব্যবহার অপরাধে তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে শ্রীপুর উপজেলাবাসী।
এ ক্ষেত্রে তারা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা, সচিব, মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য) এবং দুদক চেয়ারম্যানের এর পদক্ষেপ কামনা করেছেন।