মাগুরায় হেযবুত তওহীদ সদস্যদের উপর হামলা ও নতুন মব সৃষ্টির আশঙ্কায় সংবাদ সম্মেলন।
মাগুরা প্রতিনিধিঃ সুবির ঘোষ।
মাগুরায় মব-হামলা ও উষ্কানির প্রতিবাদে এবং হেযবুত তওহীদের সদস্যদের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিঃ দুপুর ২ টার সময় মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটি অফিস মাগুরা হাজী কমপ্লেক্স মাগুরা জেলা হেযবুত তওহীদ এর আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মাগুরা জেলা হেযবুত তওহীদ সাধারণ সম্পাদক মোঃ লতিফুল ইসলাম মিলন।
মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা হেযবুত তওহীদ সভাপতি মোঃ আলিম শেখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দগণ।
মাগুরায় হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর ধারাবাহিক হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং নতুন করে মব (উচ্ছৃঙ্খল জনতা) সৃষ্টির পায়তারার প্রতিবাদে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে সংগঠনটির জেলা শাখা। মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এ সম্মেলনে বক্তারা নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের কাছে সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্যে জেলা হেযবুত তওহীদের সহ-সভাপতি মোঃ লতিফুল ইসলাম মিলন অভিযোগ করেন, শুক্রবার চাউলিয়া ইউনিয়নের ধলহারা পশ্চিমপাড়া ঈদগাহ মসজিদের ইমাম মোঃ এনামুল জুম্মার খুতবায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুসল্লিদের উস্কে দেন। এর জের ধরে শনিবার সকালে ইমামের নেতৃত্বে মৃত নূর মোহাম্মদ আমিনের ছেলে মোঃ মঞ্জু, মৃত মহসিনের ছেলে মোঃ তাকওয়াসহ একদল লোক হেযবুত তওহীদের সদস্য মো. তোফাজ্জল হোসেন, মো. রাকিবুল ইসলাম, মো. মিজানুর রহমান ও মো. আব্দুল মতিনের বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা আগামীকাল (রবিবার) সন্ধ্যায় একটি ‘শালিশি বৈঠক’-এর নামে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ডেকে পাঠিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, এই শালিশের আড়ালে একটি মব তৈরি করে তাদের উপর শারীরিক নির্যাতন, অপমান এবং এলাকাছাড়া করার নীলনকশা করা হচ্ছে। হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, যদি তারা হেযবুত তওহীদ না ছাড়ে এবং শালিশে উপস্থিত না হয় তবে তাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে উচ্ছেদ করা হবে।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মাগুরা পৌরসভায় ঘটে যাওয়া এক বর্বর হামলার কথাও তুলে ধরা হয়। ওই ঘটনায় ইসলামবাগ পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে আবু তাহের, আলফাজসহ অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী হেযবুত তওহীদ সদস্য মোঃ মধু মিয়ার (৫০) বাড়িতে হামলা চালায়। ‘ইসলামের শত্রু’ আখ্যা দিয়ে তারা মধু মিয়া ও তার স্ত্রীকে নির্মমভাবে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। হামলাকারীরা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে এবং সবশেষে তার বসতঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে তাদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় বলে জানানো হয়। পরে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে হেযবুত তওহীদ প্রশাসনের কাছে দাবি জানায়: মধু মিয়ার উপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অভিযুক্ত ইমাম আনিসুর রহমানসহ সকল আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি নিশ্চিত করতে হবে। ধলহারা গ্রামে যারা নতুন করে মব সৃষ্টির পায়তারা করছে এবং হুমকি দিচ্ছে, সেই ইমাম এনামুলসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মাগুরা জেলায় বসবাসরত হেযবুত তওহীদের সকল সদস্য ও তাদের পরিবারের জানমালের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
অনুরোধক্রমে
মো. আলিম শেখ
জেলা সভাপতি