মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের জাহিদ জোয়ার্দ্দারকে (৫০) শ্রীরামপুর বিলের মাঠের ধনিয়ার জমি থেকে মর্মান্তিক গুরুতর শারীরিক জখম ও পিটিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীর দলবল। গতকাল শনিবার অনুমান ৩ টার সময় মেম্বার তাহাজ্জতের লোকজন শ্রীরামপুর বিলের মাঠে জাহিদকে একা পেয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের জালে ফেলে সন্ত্রাসীর দল এই বর্বর হামলা চালায়। জাহিদ জোর্য়াদ্দার তার নিজ ধনিয়ার জমিতে সার ও কীটনাশক ঔষধ দেওয়ার সময় ফাঁকা মাঠের মধ্যে মধ্যযুগীয় কায়দায় লাঠি, কোদাল, হাতুড়ি, রড, রামদা, চাইনিজ কুরাল, মুগুর ইত্যাদি দেশিয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় জাহিদের মাঝা থেকে নিচের অংশের দুই পা ও বুকে মারাত্মক আঘাত ও জখম প্রাপ্ত হয়। এরপর সন্ত্রাসীর দল তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে গেলে মাঠ কোদালিয়ার লোকজন দ্রুত উদ্ধার মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানোর পথে সে মৃত্যু বরণ করে। মৃত্যুর পূর্বে মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার সময় হুশ ফিরলে সে জানায় আমাকে তাহাজ্জত মেম্বারের নেতৃত্বের লোকজন আমাকে ঘিরে ধরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। তারা হলো শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আছির উদ্দিন মোল্লার ছেলে আরজু মোল্লা (৬০), রেজাউল মোল্লার ছেলে জুয়েল মোল্লা (৪০), মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে সুফিয়ান মোল্লা (৫৫), সবুর মোল্লার ছেলে সানি (২৪), সুফিয়ান মোল্লার ছেলে সাগর (২৭), হাবলু মোল্লার ছেলে মিশুক (২৫), বক্করের ছেলে পেন্টু (৫০), আলতাফ খার ছেলে নিশান (২০), মৃত আছির উদ্দিন মোল্লার ছেলে মাসুদ (৪৫), মৃত মতলেব মোল্লার ছেলে মনিরুল (৪০), মৃত মালেক খার ছেলে আলফু খা (৬০), রেজাউল মোল্লার ছেলে আছাদ মোল্লা (৫২), সাহেব মোল্লার ছেলে ডানিয়েল (২৫), মাখন বিশ্বাসের ছেলে টিক্কা (৩০), হুমায়ন (৩৫), মৃত মোলামদি মোল্লার ছেলে ছেলে ছালেক মোল্লা (৪০), মৃত ঝড়ু বিশ্বাসের ছেলে তালেব বিশ্বাস (৫০), রবি বিশ্বাসের ছেলে বিপ্লব (৩০) সহ আরও অজ্ঞাত অনেক লোকজন। হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজাহারুল ইসলাম আখরোট জানান দীর্ঘ দিন ধরে শ্রীরামপুর ওয়ার্ডে সামাজিক ও দলীয় ত্রুটি ছিলো। নতুন মেম্বার তাহাজ্জত (৪০) মেম্বার হওয়ার পর বিএনপি গ্রুপের লোকজনকে সাথে নিয়ে নির্বাচনের পরপরই ৫-৭ জন লোককে বিনা কারণে অযাচিত মেরে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়ে ছিলো। এর মধ্যে ছিলো ইকুল বাবু, ইউসুফ জোয়ার্দার, উজ্জ্বাল সহ আরও চারজন ব্যক্তি। তিনি আরও বলেন এলাকাবাসীর লোকজন জানে এর পিছনে বড় রাঘব বোয়াল ঢাকা থেকে নিয়ন্ত্রণ করে। যেখানে এই শক্তিশালী রাঘব বোয়ালের কাছে মাগুরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন দূর্বল ও জিম্মি। পঙ্গু ইকুল বাবু জানান গত বছর সরিষাডাঙ্গা বড় দিঘির পাড়ে থেকে মিশুক, ছানি সহ ৬-৭ জন সন্ত্রাসী দল বিকাল বেলায় আমার উপর হামলা চালিয়ে আমার দুই পা চীর জীবনের মত ভেঙ্গে দিয়ে চলে যায়, যার নেতৃত্ব দেয় তাহাজ্জত মেম্বার। শ্রীরামপুর গ্রামের আশরাফুল জানান এই গ্রামের হাসান জাহিদ তুষার ও তাহাজ্জত মেম্বারের যোগসাজশে তাদের সন্ত্রাসী লোকজনরা জাহিদ জোয়ার্দ্দারকে হামলা চালায় এবং এই মারার কারণে তার মর্মান্তিক মৃত ঘটে।