নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের প্রবীণ সাংবাদিক এমএ মান্নান মিয়া আর নেই। মঙ্গলবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ….. রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি ২ মেয়ে ১ ছেলে নাতি নাতনিসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। দির্ঘদিন বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।
এমএ মান্নান মিয়া ১৯৪২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের চন্ডিপুর গ্রামে পৈত্রিক বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্স ডিগ্রিধারী আব্দুল মান্নান কর্মজীবনে প্রথমে ১৯৬৫-৬৬ সালে শিক্ষকতা করেন। পরে ১৯৭২-৭৯ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরি করেন। তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন ১৯৮০ সালে সাপ্তাহিক ‘এখনই সময়’ পত্রিকায়। এরপর ১৯৮১ সালে খুলনার দৈনিক জন্মভূমি, ১৯৮২ সালে ঢাকার দৈনিক জনতা, ১৯৮৪ সালে ঢাকার ডেইলি মর্নিং সান, ১৯৯৩ সালে এনএনবি এবং ১৯৯৫ সাল থেকে ডেইলি ইনডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় এবং নিউজ এজেন্সি ইউএনবিতে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রবীণ এই সাংবাদিক। তিনি যশোরের পুরাতনকসবা পুলিশ লাইন এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। এমএ মান্নান মিয়া প্রেসক্লাব যশোর ও যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন (জেইউজে)’র সিনিয়র সদস্য ছিলেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিকদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। সংবাদ শোনা মাত্রই সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তার বাড়িতে ছুটে যান এবং শোক শন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
এমএ মান্নানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক শন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হসান টুকুন ও সাধারণ সম্পাদক এসএস তৌহিদুর রহমান। নেতৃদ্বয় প্রবীণ এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
জেইউজে সদস্য এমএ মান্নান মিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন
বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ।
বিবৃতি দিয়েছেন যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনোতোষ বসু, সাধারণ সম্পাদক এইচ আর তুহিন, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য গোপীনাথ দাস ও শাহাবুদ্দিন আলম। একই সাথে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি এম আইউব, সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান।