আকরাম হোসেন ইকরাম বিশেষ প্রতিনিধি\ | মাগুরা সদর থানার এসআই অভিজিৎকে ইফটিজিং ও ৭০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহনের দায়ে প্রত্যাহার করা হয়েছে পুলিশ সুপার মসিউদ্দৌলা রেজা পিপিএম বার ও সদর থানার ওসি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
জানাগেছে, গত ৯ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখ রাত ১২ টার সময় মাগুরা জাহান প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক ডা: মাসুদুল হক রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানার সমাধি নগর গ্রামের বিবেক বিশ্বাসের স্ত্রী মায়া রাণী নামের একজন গর্ভবতীর সিজার অপারেশন করেন । পরবর্তীতে এই প্রসুতীর সদ্য ভুমিষ্ট শিশুর শাররীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফার্ট করা হয়। ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করার পরপরই শিশুটির মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনা জানতে পেরে মাগুরা সদর থানার এসআই অভিজিত গত ১১ এপ্রিল গভীর রাতে জাহান প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালে এসে স্টাফদের গালাগালি দিয়ে হাসপাতাল মালিক ডা: মাসুদুল হককে খুঁজতে থাকেন। তাকে না পেয়ে তার ড্রাইভার তনু বিশ্বাসকে কোন প্রকার লিখিত অভিযোগ বা গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান।
ইতিমধ্যে বিষয়টি সাংবাদিকসহ গোয়েন্দাদের নজরে সারা শহরে প্রচার হয়ে যায়। মাগুরা জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত এনএসআই কর্মকর্তা ও সাংবাদিক মহলেও ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে অভিযুক্ত এসআই অভিজিত রাজিবকে মাগুরা সদর থানা থেকে মাগুরা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনেরও প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
এ প্রসংগে ডা: মাসুদুল হক বলেন, পুলিশ জনগনের বন্ধু। তারা জনগনের নিরাপত্তা বিধান করবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্ত এসআই অভিজিত রাজিব সেই দায়িত্ব পালন না করে নিজেই জনগনের জন্য আতংক হয়ে উঠেছেন। যা গোটা পুলিশ বাহিনীর ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেছে। এমন কি আমার ভবনের চাইনিজ রেস্তুরার নারী কর্মকর্তাকেও মোবাইল ফোনে উত্তাক্ত করেছেন। আমি বাধ্য হয়ে বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন মহলকে জানিয়েছি। আমি এই এসআই এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে মাগুরা জেলার পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা পিপিএম বার জানান, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই এসআ্ই অভিজিত রাজিবের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে বাকি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।