মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলার পৌরসভার কাশিনাথপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামানের ভোগদখল কৃত জমিতে বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করেছে দূর্বৃত্তরা। প্রায় ৫০ বছরের দখলকৃত জমিতে অবৈধভাবে জোরপূর্বক কাশিনাথপুর গ্রামের মৃতজব্বার মোল্লার ছেলে হেলা মোল্লা, হেলা মোল্লার ছেলে বিল্লাল মোল্লা, ইয়াকুব মোল্লার ছেলে টিপু মোল্লা, রিপন মোল্লা, বাদশা মোল্লার ছেলে সজল সহ ৫-৬ জন ব্যক্তি, দেশীয় অস্ত্র দা নিয়ে শুক্রবার ১৯ মে সকাল অনুমান ৬-৭ টার সময়ের মধ্যে ভিটার অর্ধেক জমিতে বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করে। কাশিনাথপুর গ্রামের স্থানীয় প্রতিবেশী বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করার ঘটনাটি পুলিশ সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামানের স্ত্রী ছালেহা জামানকে জানালে তিনি তৎক্ষনাৎ ভিটার জমিতে গিয়ে দেখেন তারই গ্রামের ৫-৬ জন লোকজন তারই জমির বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করছে। তিনি হেলা মোল্লাকে বলেন আপনারা কিভাবে আমার জমিতে বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করছেন একথা শুনে হেলা মোল্লা উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে। বিষয়টি ছালেহা জামান তার ছেলে সাংবাদিক ফারুক আহমেদকে জানালে তিনি ত্রিফল নাইনে (৯৯৯) ফোন করলে তাৎক্ষণিক মাগুরা সদর থানা পুলিশের সহায়তা পান। মাগুরা সদর থানার এসআই ফরহাদ হোসেন তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সরেজমিনে কাশিনাথপুর গ্রামে প্রবেশ করে। পুলিশের আগমনের কথা টের পেয়েই দূর্বৃত্তরা জমি থেকে স্থান ত্যাগ করে এবং পুলিশ এসে হেলা মোল্লার স্ত্রীর কাছে জানতে চান তার স্বামী সাথে লোকজন নিয়ে কোন উদ্দেশ্য অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামানের জমিতে বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করছে। তখন তিনি বলেন এটা শরীকানা জমি এবং জমির আসল দলিল যার জমি তো তার। এরপর কাশিনাথপুর গ্রামের মধ্যেপাড়ার মাতব্বর কামরুল মোল্লা এসে জমি মিমাংসার দায়িত্ব নেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখের মোকাম মাগুরার সদর সহকারী জজ আদালতে ১৪৭/২০২৩ মামলা দায়ের করেছে দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৩৯ অর্ডারের ১ম রুলের বিধান দরখাস্তে বিবাদী মোঃ মনিরুজ্জামান। মামলার দরখাস্তে দেখা যায় মাগুরা সদর উপজেলার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাশিনাথপুর মাগুরার অধীনে সাবেক ৯৯, হাল ৭২ নং কাশিনাথপুর মৌজার এস.এ ২৯৫ নং খতিয়ান ভুক্ত নালিশী ৩৪৩/৩৫৪/৩৪১/৩৪২ নং দাগের জমিতে ছদর উদ্দিন মোল্লা, গণি মোল্লা ও গণি মোল্লার এস এ রেকর্ড প্রকাশিত হয়। মালেক মোল্লার নিকট গত ৩০ এপ্রিল ১৯৭৩ সালে রেজিষ্ট্রিকৃত ৭১২১ নং কবলা মুলে মোঃ মনিরুজ্জামানের পিতা মৃত আপ্তাব উদ্দিন মোল্লা ২৩ শতক জমি ক্রয় করেন। এরপর গত ৬ এপ্রিল ১৯৮৮ সালে আনোয়ারা বেগমের কাছে থেকে ঐ ২৩ শতক জমির সাড়ে ১১ শতক রেজিষ্ট্রি দলিলে ক্রয় করে মনিরুজ্জামান। বিগত আর এস জরীপে উক্ত জমির ৪ টা দাগ একটা ব্লকে ১৯৪ দাগে সৃষ্টি হয়ে আর এস ১৯৪ দাগের ৬৩ শতকের মধ্যে ২৩ শতক জমি দক্ষিণ পাশ থেকে ১৯৭৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভোগদখলে থাকে মনিরুজ্জামানের। বাদীপক্ষ ইয়াকুব মোল্লার ওয়ারেশগণ গত ২০২৩ সালের জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারী মাস থেকে ভীতি প্রদর্শন করে আসছে বিবাদী পক্ষ অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামান ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে। তাই ভুক্তভোগী জমির প্রকৃত মালিক মোঃ মনিরুজ্জামান আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে ১৯ জানুয়ারি বাদীপক্ষের বিরুদ্ধে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা ও শুনানি অন্তে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করে। মাগুরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগী জমির মালিক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামান ও তার পরিবার