ফারুক আহমেদ, : শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে নিয়ে মাগুরায় ওএমএস ও টিসিবির কার্যক্রম সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে ভুর্তকি মূল্যে খোলা বাজারে চাল বিক্রয় কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ সকাল ৯.৩০ টার সময় জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ মাগুরা এর আয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ভুর্তকি মূল্যে মাগুরা সদর পৌরসভা এবং শালিখা, মহম্মদপুর ও শ্রীপুর উপজেলায় খোলা বাজারে চাল বিক্রয় কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়। চাল বিক্রয় কার্যক্রমে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক মাগুরা ডঃ আশরাফুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপসচিব খাদ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সচিবালয় ডঃ ললিতা রানী বর্মন, পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোতোষ কুমার মজুমদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারিফ উল হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক রতন কুমার দাস, (ভারপ্রাপ্ত) গুদাম কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিক সহ খাদ্য বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দগণ। এছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় তথ্য যাচাইকৃত ভোক্তাদের ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খোলা বাজারে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা দরে বিক্রয় হবে। মাথাপিছু সর্বোচ্চ ৫ কেজি, টিসিবি কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। টিসিবি কার্ডধারীগণ প্রতি মাসে ১৫ দিন অন্তর অন্তর ৫ কেজি করে মাসে মোট ১০ কেজি চাল পাবে। তবে টিসিবি ভোক্তাদের অবশ্যই টিসিবির কার্ড সংগে আনতে হবে। এছাড়া যারা সাধারণ ক্রেতা তাদেরকে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি সংগে আনতে হবে। মাগুরা সদর পৌরসভায় ১০ টি কেন্দ্রে ১০ জন ডিলার দিয়ে প্রতিদিন ১ মেট্রিক টন চাল বিক্রয় করা হবে। এছাড়া শালিখা, মহম্মদপুর ও শ্রীপুর উপজেলায় ২ জন করে ডিলার দিয়ে প্রতিদিন ডিলার দিয়ে প্রতিদিন ডিলার প্রতি ২ মেট্রিক টন করে চাল বিক্রয় করা হবে। মাগুরা জেলায় মোট ২৭৪৩২ জন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারী আছে। ৩৬ টি ইউনিয়নে ৬৭ জন ডিলারদের মাধ্যমে যাদের তথ্য সঠিকভাবে যাচাই সম্পন্ন হয়েছে তাদেরকে কার্ডপ্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির প্রতিকেজি চালের মূল্য ১৫ টাকা করে।