মাগুরা প্রতিনিধি\ মাগুরা মোহাম্মাদপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামের প্রবাসী মাহবুব হোসেনের স্ত্রী নাজমা খাতুন(২২) মাগুরা সিভিল সার্জনের ভুল অপারেশনে মাগুরার ল্যাবসিটি নামক একটি বেসরকারি ক্লিনিকে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।বাচ্চাটি সুস্থ্য আছে। ঘটনাটি গতকাল ১৪ই জুন বুধবার সকালে ঘটেছে। প্রবাসী মাহবুব হোসেনের স্বজন সুত্রে জানায়,নাজমা খাতুনকে সিজারের উদ্যেশ্যে তার আপন বড় ভাই পিসি ডা নান্নু ল্যাবসিটিতে ১৩ই জুন রাত্রে ভর্তি করান।রাত ১২টার সময় মাগুরা সিভিল সার্জন আলহাজ¦ শহিদুল্লাহ দেওয়ান অপারেশন করেন। অপারেশনের ১ ঘন্টা পর নাজমার রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে। রাত সাড়ে ৩টা পর্জন্ত সিভিল সার্জন শহিদল্লাহ দেওয়ান রোগীকে পুনরায় অপারেশন করে তার জরায়ু কেটে ফেলেন কিন্তু তারপরও তার রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় না। তার পর ভোর রাত ৪টার দিকে নাজমার মৃত্যু হয়। এ দিকে নাজমার মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর লাশ ভোর হতেই তড়িঘড়ি করে নাজমার দুসম্পর্কের মামার কাছে থেকে সই নিয়ে লাশ হস্তান্তর করে।এদিকে প্রবাসীর বাবা আব্দুস সামাদ মোল্যার কাছে জানতে চাইলে বলেন,আমার বেটার বউকে তার আপন বড় ভাই নান্নু মিয়া কোথায় নিয়ে সিজার করেছে তা জানিনা। তবে আমাদের কোন লোক সিজারের সময় রাখেনি, যেহেতু আমার ছেলে বিদেশে থাকে। আমাদেরকে রক্ত শুন্য হয়ে মারা গেছে এটা বলেছে। নাজমার ভাই নান্নু মিয়া জানান,আমার বোন নাজমা অপারেশন সিজার করে বাচ্চা হল তার পর কিভাবে রক্ত শুন্য হল জানিনা।সিভিল সার্জন ডা শহিদুল্লাহ দেওয়ানের বিরুদ্ধে এর আগে গ্রাম ডাক্তাদের রিফ্রেশমেন্ট ট্রেনিং এর নামে ৮০লক্ষ টাকার বানিজ্যসহ ও জেলার বিভিন্ন বাজারে গ্রাম ডাক্তার ও ওষুধের দোকানে হতে চাঁদাবাজি সহ নানা অভিযোগে রয়েছে।এছাড়া ভায়না মোড়ে নিউ আরাফাত ক্লিনিক এক মাস আগে বিজলী রানী স্বামী রতন মসলন্দপুর কামারখালী ফরিদপুর নামে এক রুগী জরায়ু অপারেশনের পরে মারা যায় ও হাজি সাহেব রোডে লাইফ কেয়ার হাসপাতালে তার ভুল চিকিৎসায় রোগী মারা গিয়েছিল। সিভিল সার্জনের হাতে ভুল চিকিৎসায় ও অপারেশনে যদি রোগী মারা যায়,তাহলে মানুষের আর আস্থার জায়গা কোথায়, জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে? এদিকে নাজমার লাশ বুধবার যহর নামাজ বাদ জানাজা শেষে তার স্বামীর বাড়ি খালিয়া গৌরস্থানে দাফন করা হয়।