• Sun. Dec 22nd, 2024

Basic News24.com

আমরা সত্য প্রকাশে আপোষহীন

মহম্মদপুর আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কৃষকের ধান,ও গাছ কেটে নিল ইউপি সদস্য

Bybasicnews

Nov 2, 2023
মাগুরা প্রতিনিধি>>
মাগুরা  মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের চুড়ারগাতী গ্রামের ওয়াজেদ মেম্বার আদালতের ১৪৪-১৪৫ ধারার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোর পূর্বক এনায়েত হোসেন (৭০)নামের এক বৃদ্ধ কৃষকের জমির পাকা বোরো ধান কেটে নিয়ে গেছেন বলে মর্মে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার ২ নভেম্বর সকালে চুড়ারগাতী মৌজার ১৭২ নং খতিয়ানের ৭৫৪,৭৬৯,৭৫৮,৭৭১,৭৭২ নং দাগের মধুমতী নদী সংলগ্ন ১৭ একর ২০ শতাংশ জমির ৯০ শতাংশ জমির পাকা বোরো ধান কেটে নিয়ে গেছে একই গ্রামের বাসিন্দা শওগত ওসমান এর নেতৃত্বে সাবেক মেম্বার ওয়াজেদ । এঘটনায় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করলেও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধান ও অভিযুক্তদের আটক করতে সক্ষম হয়নি।
তবে এ বিষয়ে,অভিযুক্ত সাবেক ইউপি মেম্বার ও ভূমি দস্যু শওকত ওসমান এর নেতৃত্বে বিরোধপূর্ণ ওই জমির কিছু ধান কেটে নিয়ে আসার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখানে মোট ৯০ শতাংশ ভুমি আমার চাচার। তবে তিনি জমির কোন দলিল দস্তাবেজ বা রেকর্ডের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এ সময় তিন পাক সরবাজ মৌজা বলে দাবি করেন। তবে বাংলাদেশের ম্যাপে কোথাও পাকসারবাজ মৌজা পাওয়া যায়নি। কোথায় এ মৌজা পেলেন, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন, আমাদের কোন কাগজ লাগেনা। জোর করে জমির ফসল কেটেছি আরো কাটবো পারলে পুলিশ,প্রশাসনকে ঠেকাতে বলেন।
জানা গেছে,১৯১৭ সাল থেকে জমিটি সোনাউল্লাহ ফকিরের পৈতৃক সম্পত্তি, তাদের নামে রয়েছে সি,এস রেকর্ড,
এস,এ,রেকর্ড এবং সর্বশেষ হাল রেকর্ড।চুড়ারগাতী মৌজার ১৭২ নম্বর খতিয়ানের,৭৫৪,৭৫৮,৭৬৯,৭৭১,৭৭২ এই পাঁচ দাগে মোট জমির পরিমান ৩১একর ১০ শতাংশ জমি।
আরো জানা গেছে, উক্ত জমির মধ্যে ৪৬ শতাংশ জমি নিয়ে চলে সোনাউল্লাহ ফকির এবং ইউসুফ মোল্লার সাথে মামলা। দীর্ঘদিন মামলা চলার পরে,civil revision no 5881 of 1991 Dhaka civil revision no 10 of 1985 Jessore এর মাধ্যমে সোনাউল্লাহ ফকির এর পক্ষে রায় দেন বিজ্ঞ আদালত। এবং ডিগ্রি জারি হয়। উল্লেখ্য ৩১একর ১০ শতাংশ জমির মধ্যে মাএ ৪৬ শতাংশ জমি নিয়ে মামলা চললেও ভূমি দস্যুরা জল জালিয়াতি ভাবে ভুক্তভোগীদের একত্রিশ একর জমি দখল করে নিয়েছেন সাম্প্রতিক । আদালতের ১৪৪-১৪৫ জারি অমান্য করে জোরপূর্বক জমির গাছ ও ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। গণমাধ্যমের কাছে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ভূমি আইন বাস্তবায়ন করলেও মিলছে না কোন সমাধান মাগুরা জেলায়, অভিযোগের পর অভিযোগ দিয়েই যাচ্ছি কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না প্রশাসন।
এ নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে ভুক্তভোগী সোনাউল্লাহ ফকিরের ছোট ছেলে ‘এনায়েত হোসেন’ গত ২৬-১০-২৩ আদালতে এব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করেন,মামলা নং ৫১১” উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে আদালত বিরোধ পুর্ণ ওই ভুমিতে ১৪৪-১৪৫ ধারা জারি করেন। কিন্তু সোমবার সকালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই সাবেক ইউপি ওয়াজেদ ও শওগত ওসমান নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত জমির পাকা ধান,ও গাছ কেটে নিয়ে আসেন। বাকি অংশের ধান মাঠে পঁচে নষ্ট হচ্ছে।
প্রকৃত জমির মালিক ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক এনায়েত হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি একজন নিরীহ কৃষক। শওকত এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি তার লোকজন নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে জোর করে আমার জমির ধান ও গাছ কেটে নিয়ে গেছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই, বলে তিনি কাঁদতে থাকেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি বোরহান অফিসার ইনচার্জ মহাম্মদপুর থানা তিনি বলেন,আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ১৪৪- ১৪৫ জারি বহাল রয়েছে।

আর উক্ত বিষয়ে আমার থানায় কোন অভিযোগ আসে নাই আমি গত তিন মাসে আগে যোগদান করেছি। এব্যাপারে মহাম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মন্ডল ২ নভেম্বর দুপুরে বলেন,আদালতের ১৪৪-১৪৫ ধরা অমান্য করে কৃষকের ধান কাটতে পারেন না কেউ। প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তিনি বলেন,”মহাম্মদপুর পি -৫১১/২৩,ফৌঃ,কাঃ বিঃ ১৪৪/১৪৫ ধারা মাগুরা বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি নিয়মিত মামলা । অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার বিষয়ে পুলিশের রিপোর্ট পাওয়ার পরই পরবর্তী আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *