এক প্রশ্নের জবাবে কিরবি বলেন, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক ধারার প্রতি বাংলাদেশের নাগরিকদের আকাঙ্খা পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনেরর কোনো পরিবর্তন হয়নি। গণতান্ত্রিক চর্চা ও ধারা সমুন্নত রাখতে বিশ্বব্যাপী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহত রেখেছে। সেই সঙ্গে মুক্ত এবং গতিশীল গণতন্ত্র নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
স্থানীয় সময় বুধবার (১০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনকে একতরফা উল্লেখ করে বিরোধীদলের ওপর সরকারের অব্যাহত দমননীতির প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে জন কিরবিকে প্রশ্ন করা হয়।
প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরে প্রশ্নের জন্য আহ্বান জানালে ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উত্থাপন করে হোয়াইট হাউস সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, ‘বাংলাদেশের একতরফা নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে যেভাবে বিরোধীদলের ওপর আক্রমণ-গ্রেপ্তার-দমননীতি প্রয়োগ করা হয়েছে তাতে নিন্দা জানিয়েছে গোটা বিশ্ব। সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এই নির্বাচনের সমালোচনা করে এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিরোধীদলের ওপর সরকারের পৈশাচিক আক্রমণ। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের বিশ্বব্যাপী সুষ্ঠু গণতন্ত্রিক ধারা প্রচারের সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে দিলো বাংলাদেশ। এর আগে আপনি বলেছিলেন, বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্খার প্রতিফলনে যা করা দরকার তা-ই করবেন। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনের পূর্বে আপনারা ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিলেন। বিশ্বব্যাপী বাইডেন প্রশাসনের গণতন্ত্র প্রচারের চেষ্টা বাংলাদেশে বাধাগ্রস্ত হয়েছে মর্মে যে সমালোচনা উঠেছে সে বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
এমন প্রশ্নের জবাবে কিরবি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা এখনো বিশ্বজুড়ে সক্রিয় এবং গতিশীল গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতাকে সমর্থন করি। বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্খা পূরণের প্রত্যাশার জায়গা থেকে আমাদের কোনো নড়চড় হয়নি। আমাদের সেই প্রত্যাশাটি হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা।