সাবেক কৃষিকর্মকর্তা বলেন, কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে শিমুল গাছ। শিমুল গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি ফার্নিচার খুব বেশি স্থায়ী হয় না। এছাড়া ফোমের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় শিমুল তুলো ব্যবহার কমে গেছে। ফলে শিমুল গাছ হারিয়ে যাওয়ার পথে।
0
আকরাম হোসেন ইকরাম ॥ শুধু ফুল আর ফুল। রক্তিম রঙের রঙিন ফুল। শিমুলের ডালে ডালে ফুটেছে তা। রক্ত লাল এ ফুল মানব হৃদয় উদাস করে। রোববার সকালে উপজেলার কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় দেখা মেলে এ ফুলের । গাছে গাছে রক্ত লাল ফুল।এই রক্ত লাল ফুল থেকে তৈরি হয় সাদা তুলো। লেপ, তোশক তৈরিতে শিমুল তুলোর কোন জুড়ি নেই। যদিও ফোমের কারণে এর ব্যবহার কমে গেছে।প্রায় দুই দশক আগে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা শোভাবর্ধন করতো শিমুল ফুল। কালের বিবর্তনে ঋতুরাজ বসন্তে এখন আর যেখানে সেখানে চোখে পড়েনা রক্তলাল শিমুল। মূল্যবান শিমুল গাছ এখন বিলুপ্তির পথে। জগদিশ অধিকারী বলেন, শিমুল গাছ ওষধি গাছ হিসেবে পরিচিত। ছোট শিমুল গাছের মাটির নিচের অংশ বা মূলের উপকারিতা অনেক। ভেষজ চিকিৎসা কাজে এই গাছের রয়েছে নানাবিধ ব্যবহার। গ্রামঞ্চলের মানুষ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে শিমুলের রস ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে গাছের মূলকে ব্যবহার করতো।সাবেক শিক্ষক আব্দুল খালেক জানান, গ্রাম বাংলার এই শিমুল গাছ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিত। মানুষ এই শিমুলের তুলো কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে নিজের গাছের তুলো দিয়ে বানাতো লেপ, তোষক, বালিশ। শিমুলের তুলো বিক্রি করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এমন নজিরও আছে। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন আর তেমন চোখে পড়ে না শিমুল গাছ।