বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। রাজধানীর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে তাঁর। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাঁর চিকিৎসা দিচ্ছেন। প্রতিদিনই তাঁরা বাসায় যাচ্ছেন, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ওষুধপত্র দিচ্ছেন। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার পর এক সপ্তাহেরও বেশি সময় হয়ে গেছে। এখনো তাঁর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিতই রয়েছে।
জানা গেছে, ‘ক্রনিক লিভার ডিজিজ’ এর কারণে সম্প্রতি বেশ কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল বেগম জিয়ার শরীরে। ফলে তাকে গত ২৮ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ৩১ আগস্ট আবারও তিনি গুলশানের বাসায় ফিরে যান।তবে মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, লিভার সিরোসিসের মতো রোগের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা বাংলাদেশে হয় না। ‘বিদেশে উন্নত হেলথ সেন্টারে’ নিতে না পারায় তাঁর ‘লিভার সিরোসিস’-এর চিকিৎসাটা এখানে সঠিকভাবে হচ্ছে না। ফলে দিন দিন জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এ জন্য তাকে দ্রুত বিদেশের কোনো উন্নত হেলথ সেন্টারে নেওয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজন। এর আগে গত ২২ আগস্ট খালেদা জিয়াকে গুলশানের ওই হাসপাতালে নিয়ে হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। গত জুন মাসে একই হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়েছিল। ৭৭ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে ব্লক, আর্থ্রাটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।