মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সত্যবানপুর গ্রামের (দক্ষিণপাড়া) এলাকার মিস্টির দোকানদার আলী সর্দ্দারের পুত্র গোলাম রসুল (৪৫) একই গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার দুঃখু মোল্লার স্ত্রী চাঁদনি খাতুনের (২২) ঘরে রাতে উঠার পর থেকে পরিবারের লোকজনের মুখে নিখোঁজের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার-শনিবার ২০-২১ জুন দিবাগত গভীর রাত ১ টার সময়ে গোলাম রসুল একাকী চাঁদনি খাতুনের ঘরে প্রবেশ করে। এরপর চাঁদনির বাড়িতে ঐ গভীর রাতে বিশাল আকারে উচ্চ স্বরে চিল্লাচিল্লি হয়। চাঁদনির বাড়ির প্রতিবেশিরা জানায় ঘটনার ঐ দিন গভীর রাতে আমরা দুঃখু মিয়ার বাড়িতে সোরগোল শুনেছি।
এবিষয়ে চাঁদনি খাতুন জানান, গোলাম রসুল আমার বয়সে বড় সে অত্যন্ত চরিত্রহীনা লম্পট প্রকৃতির লোক ইতিপূর্বে সে আশেপাশের আরও কিছু মেয়ে ও মহিলার ঘরে ধরা খেয়েছে। আর ঘটনার দিন রাত ১ টার সময়ে আমার স্বামী উত্তর ঘরে শুয়ে ছিলো আর আমি মেয়েকে নিয়ে ঘরের দক্ষিণ রুমে শুয়ে ছিলাম। আমার ঘরের দরজা ধাক্কা দিলেই খুলে যায় আর ঐ সুযোগে গোলাম রসুল আমার ঘরে প্রবেশ করে।
সত্যবানপুর গ্রামের মাতব্বর মোঃ মুজিবর রহমান জানান, গোলাম রসুল এর আগেও মেয়েলি বিষয় নিয়ে হাতেনাতে ধরার পর শালিস করা হয়েছে। আর চাঁদনির ঘরে উঠার পর থেকে এলাকায় তাকে আর দেখা যাচ্ছে না। তার খোঁজ খবর পাওয়া গেলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের মাধ্যমে উপযুক্ত বিচার করা হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বেরইল পলিতা গ্রামের মনির ও কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের পাটখালী গ্রামের মুকুল জোমার্দ্দার।
গোলাম রসুলের স্ত্রী জোহরা খাতুন (২৭) জানান, আমার স্বামী গোলাম রসুল জাকারিয়া মিস্টান্ন ভান্ডারে দই পাতার জন্য ৩৬ হাজার ৯ শত টাকা, ঘর মালিক ৪০ হাজার টাকা ও যশোরে ফল ক্রয়ের ১০ হাজার নগদ টাকা তার কাছে ছিলো। তবে আমি শুনেছি চাঁদনির বাড়ির লোকজন আমার স্বামীর কাছে থেকে দোকানের চাবি, ২ টা মোবাইল ফোন একটা টাচ ফোন ও একটা বাটন মোবাইল ফোন, শার্ট, গামছা ও ঘরের ভিতর ২ হাজার টাকা, ৩০ হাজার টাকা ও ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছে। জোহরা খাতুন আরও জানায় এই দুশ্চরিত্রা মহিলা চাঁদনি ৩-৪ বার অন্য পর পুরুষের হাত ধরে বেরিয়ে গেছে এবং এলাকায় বেশ কয়েকবার শালিস দরবার হয়েছে।
এলাকাবাসীর সচেতন মহলের লোকজন গোপন সূত্রে জানায়, এই চাঁদনি খাতুন ও গোলাম রসুল দীর্ঘ দিন ধরে গোপনে অবৈধ শারীরিক মেলামেশার সম্পর্ক করে যাচ্ছে। আর এই ঘনিষ্ঠ মেলামেশার সময় গভীর রাতে হাতে নাতে ধরা খেয়েছে। এছাড়াও আরেকটি গোপন সূত্রে জানা যায়, মাতব্বর মুজিবর রহমান ও মনির বিষয়টি দফারফা করার জন্য গোলাম রসুলের কাছে থেকে ১ লাখ টাকা নিয়েছে।