বিশেষ প্রতিনিধি,
মাগুরা জেলা পরিষদের পুনঃনির্বাচিত চেয়ারম্যান পংকজ কুমার কুন্ডুকে ফুলেল শুভেচ্ছায় ভাসাচ্ছেন জেলার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদের ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক, ক্রীড়া, ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা স্তরের মানুষ তার বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে গত ৩দিন ধরে ফুলের তোড়া, ফুলের মালা দিয়ে তাকে দিনরাত অভিনন্দন জানাচ্ছে। সোস্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে পোস্ট করছেন গুনগ্রাহীরা। বিভিন্ন সময়ে শিক্ষা, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে তার নেয়া প্রকল্পগুলি পরিপূর্ণতা পাবে বলে মনে করছেন এসকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মাগুরা সদরের হাজিপুর বাজার স্কুল মসজিদের জাহিদুল ইসলাম, আলমখালি মসজিদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, আগে আমাদের মসজিদগুলি অনেকটাই জীর্ণশির্ণ ছিল। পংকজ কুন্ডু জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচতি হওয়ার পর তিনি নিজ উদ্যোগে আমাদের মসজিদের উন্নয়নে জন্য হাত বাড়িয়ে দেন। জেলা পরিষদের মাধ্যমে পুনঃনির্মিত অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসা তার হাত ধরে আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে। তার হাত ধরেই আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি অর্জন করবে বলে আমরা মনে করি।
মহম্মদপুর বাজার রাধানগর মন্দিরের কর্মকর্তা বাবুল চ্যাটার্জি বলেন, এ এলাকার অন্যতম ঐতিহ্যবাহি আমাদের এ মন্দিরটির একটি বড় অংশই পংকজ কুন্ডু মহোদয়ের ঐকান্তিকতায় সম্পন্ন হয়েছে। আমরা তার জন্য আশির্বাদ করি। মাগুরা শহরের জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে ফুলেল শুভেচ্ছা দিতে আসা সাংস্কৃতিক সংগঠক মাগুরা সংগীত একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পংকজ কুন্ডু শুধু একজন জনপ্রতিনিধিই নন। তিনি মনেপ্রাণে একজন শিল্পী। তার শিল্পী সত্তাথেকেই তিনি সব সময় অবহেলিত শিল্পীদের পাশে থাকেন। গত করোনার সময় যখন শিল্পীরা অত্যন্ত কষ্টের সময় কাটাচ্ছিলেন। সে সময়ে তিনি শিল্পীদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। সংগঠনগুলিকে টিকে থাকতে সহায়তা করেছেন। তার জন্য আমরা সবাই দোয়া করি। এ প্রসঙ্গে মাগুরা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাঘবদাইড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম বাবুল ফকির সাংবাদিকদের জানান, ছাত্রজীবনের শুরু থেকে ছাত্রলীগের মাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতির ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতাদের মধ্যে পংকজ কুন্ডু অন্যতম। আওয়ামীলীগের সংকটের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে পরিক্ষিত এ নেতা এখন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এ কারণে জেলার তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত তার রয়েছে জনপ্রিয়তা। সেইসঙ্গে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি দলমত নির্বিশেষে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। করোনা মহামারিতে তার নেয়া খাদ্য, সেনিটাইজার, মাস্ক, নগদ টাকা বিতরণসহ অসংখ্য কর্মসূচীতে তিনি শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই জনপ্রিয়তার প্রমাণ হিসেবে তিনি আবারও আওয়ামীলীগের সমর্থন পেয়ে বিপুল ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার এ বিজয়ে সাধারণ মানুষ উচ্ছসিত হয়ে ৩দিনধরে তাকে শুভেচ্ছার সাগরে ভাসাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে পুনঃনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুন্ডু বলেন, অসহায় অবহেলিত মানুষের জন্য আমার পরিবারের দ্বার সব সময়ই খোলা থাকতো। জীবনে যখন যেখানে যে দায়িত্ব পেয়েছি। চেষ্টা করেছি নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে মানুষের পাশে থাকতে। জেলা পরিষদে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মানুষের সেবা করার সে সুযোগ আরও বেড়ে গেছে। অনেক সীমাবদ্ধতার পরও আমি চেষ্টা করেছি শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে মানুষের পাশে সেবার হাত বাড়িয়ে দিতে। জেলা পরিষদের আইনের মধ্যে থেকে মানুষের পাশে যতটুকু থাকা যায় আমি তার শতভাগ চেষ্টা করেছি। তার ফল আমি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পেয়েছি। যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আর যারা আমার নির্বাচনে কাজ করেছেন তাদেরকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই। আমার এ বিজয় আমি আমার মাগুরার জনগণের জন্য উৎসর্গ করলাম।