মাগুরা প্রতিনিদধ।। মাগুরার শালিখা উপজেলা হেল্থ কমপ্লেক্সের ক্যাশিয়ার ইমরান মেহেদি হাসানকে বৃহস্পতিবার দুইদিনের রিমাণ্ডে নিয়েছে পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহেনার স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে তাকে গ্রেফতারের পর বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ সময় ৭ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করা হলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান দুদিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
মাগুরা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের জুলাই মাসে ইমরান মেহেদি হাসানকে ময়মনসিংহ সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে মাগুরার শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কার্যালয়ে ক্যাশিয়ার পদে বদলী করা হয়। কিন্তু এখানে যোগদানের এক সপ্তাহ পর শারীরিক অসুস্থ্যতার কথা বলে ৭ দিনের ছুটি নিয়ে প্রায় ৩ মাস সে অনুপস্থিত রয়েছে।
ময়মনসিংহ সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে কর্মরত থাকাকালিন ইমরান বিভিন্ন ঘুস দূর্ণীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। যে ঘটনার প্রেক্ষিতে তাকে শাস্তিসরুপ মাগুরার শালিখায় বদলী করা হয়। কিন্তু এখানে যোগদানের পর প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহেনার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিজের বদলীর সুপারিশ পত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ে দাখিল করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইমরান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাগুরা জেলা থেকে ময়মনসিংহে বদলির জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই গত ১ অগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেন। এরপর ৩১ অক্টোবর শেখ রেহানার সিল-স্বাক্ষর জাল করে তদবিরের সুপারিশ করেন। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. লুৎফর রহমান শাহীন বনানী থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার তাকে ঢাকার মহাখালী থেকে র্যাব সদস্যরা গ্রেফতার করে বনানি থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। বুধবার পুলিশ আদালতে ৭ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করলে দুদিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করা হয়। ঢাকার মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ কমিশনার জসিমউদদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মাগুরার শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাইমুন নেছা বলেন, ক্যাশিয়ার ইমরান শালিখায় যোগদানের পর ১ সপ্তাহের ছুটি নিয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত রয়েছে। তার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।