ওবায়দুর রহমান,মাগুরা। মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালীর ধুলজোড়া চুড়ারগাতি পিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি ৪টি পদে নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য,দূর্ণীতি ও নানা অনিয়মের মাধ্যমে করা হয়েছে।এ বিষয়টি মানুষের মনে চরম ভাবে দাগ কেঁটেছে,তাই এই দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানুষ সোচ্চার হয়ে করছে তার তীব্র প্রতিবাদ,জানিয়েছে ঘৃণা ও অসম্মতি। তাতেও সমাধান না হওয়ায় বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত,এলাকাবাসি বাদী হয়ে করেছে একাধিক মামলাও।অনিয়ম ও দূর্নীতি গুলো হলোঃ- এক.প্রধান শিক্ষক শ্রীকান্ত বিশ্বাস ও সভাপতি রসকান্ত বিশ্বাস যোগসাজশ করে আয়া (নিস্কৃতি),পরিচ্ছন্নতাকর্মী(মনোজিৎ),অফিস সহায়ক(সংকর) ও ল্যাবসহকারী পদে(সৌরভ) ৪ প্রার্থীর কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা ঘুষ নিয়ে তাদের চাকুরী দেব,যা২৭/০৮/২২তারিখে দৈনিক সমাজের কথা পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নামসহ প্রকাশ হওয়ার পরেও ঠিক তাদেরকেই ২০/০৯/২২তারিখে নিয়োগ দেওয়া হয়। দুই.নিয়োগ বাণিজ্যের খবর পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানাজানি হলে ২৭/০৮/২২তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয় এবং ঐ একই তারিখে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে রেজুলেশন করেন,যা বেসরকারি শিক্ষক নীতিমালা পরিপন্থী। তিন.নিয়োগ পরীক্ষার ৩দিন পর ২০/০৯/২২ তারিখে বেলা ২ঃ০০ ঘটিকায় নিয়োগ বৈধ করণ মিটিং করা হয়,ঐ তারিখে মিটিংয়ের পর অন্য তারিখে নিয়োগ ও যোগদান পত্র ইস্যু করার নিয়ম থাকলেও মাজার বিষয় হলো ঐ একই তারিখে তাদের দেওয়া হয় তাদের নিয়োগ পত্রের চিঠি এবং ঐ একই তারিখে তারা যোগদানও করে,যা আলাউদ্দীনের প্রদীপের মত,যা বেসরকারি শিক্ষক বিধি-১২(৬)সেকশন-৩৪ পরিপন্থী। চার.সভাপতি হতে হলে তার নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সহ সমাজ সেবক শিক্ষানুরাগী,দাতা বা জনপ্রতিনিধি হতে হবে নীতিমালা এমন কথা উল্লেখ থাকলেও অশ্চর্যের বিষয় হলো এসবের কোন যোগ্যতায় সভাপতির মধ্যে বাঁটি চালান দিয়েও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এছাড়াও এই নিয়োগ ও সভাপতি গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে রয়েছে পাহাড় সমান দূর্নীতি,অনিয়ম।যার প্রতিকারের জন্য এলাকাবাসী ও সুশীলসমাজের পক্ষে গত ২২/০৯/২২ তারিখে ৪ জন বাদী হয়ে মাগুরা জজ আদালত একটি মামলা করেন মামলা নং ৩৬৬/২২। যে মামলার অদেশের দিন ধার্য্য রয়েছে আগামী ২৮/১১/২২তারিখে।এলাকাবাসি চাই এই দূর্ণীতি,অন্যায় ও অনিয়মের সঠিক বিচার,যেটাকে টনিক হিসাবে নিয়ে মানুষ দূর্ণীতির বিরুদ্ধে তাদের বিবেককে জাগ্রত করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিখবে,রুখে দাঁড়াতে শিখবে দূর্ণীতি,অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে,যদি তা না হয়,তাহলে এসকল দূর্নীতি,অনিয়ম,ঘুষ,অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে মানুষ ভুলে যাবে, সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা আত্মার মৃত্যু হবে বলেও সচেতন মহল মনে করেন।