মাগুরা শ্রীকোল ইউনিয়নের ছোনগাছার ইউপি
সদস্য চাঁদ আলীসহ ২ ভাইকে কুপিয়ে জখম
গত ২৩শে আগষ্ট ২০২২, মাগুরা জেলা আওয়ামী যুবলীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে যোগদান শেষে বাড়ি ফেরার পথে কুটি মিয়া নিজে ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে মৃতভেবে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে যায় শ্রীকোল ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি ও বারবার নির্বাচিত জনপ্রিয় ইউপি মেম্বার চাঁদ আলীকেও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে এক অশান্ত রক্তাক্ত জনপদ তৈরীর অপচেষ্টা করছে নিজেকে এলাকাবাসীর ভাগ্যনিয়ন্তা হিসেবে দাবী করা শ্রীকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া কুটি। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে কোন সম্পৃক্ততা না থাকা এবং দলীয় কোন সিদ্ধান্ত না মানা সত্ত্বেও এলাকাবাসীর কাছে নিজেকে তাদের নীতিনির্ধারক ও আওয়ামীলীগ নেতা দাবী করা এই সন্ত্রাসীর গডফাদার এলাকাবাসীকে জিম্মি করে প্রত্যকটি জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিরোধিতা করে বড় ধরনের সুবিধা হাসিল করার চেষ্টা করে এবং নিজের চাহিদামত সুবিধা না পেলে তার সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দলের জন্য কাজ করা আওয়ামীলীগ কর্মী ও তাদের পরিবারের উপর নেমে আসে অমানিষার কালো অন্ধকার, হতে হয় হত্যাকান্ডের শিকার অথবা বরণ করে নিতে হয় পঙ্গুত্ব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে । চাঁদ আলী আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুধু চাঁদ আলীকে নৃশংসভাবে কুপিয়েই ক্ষান্ত হয় নাই এই ভয়ংকর সন্ত্রাসী কুটি মিয়া, চাঁদ আলীকে জখম করার ২ ঘন্টা পরে তার ভাইকেও নৃশংসভাবে কুপিয়ে পঙ্গু করে দিয়েছে যিনি এখন ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চাঁদ আলী এবং তার পরিবারের লোকেদের এই অবস্থা কারন তারা কুটি মিয়ার সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করেছে। ঠিক এভাবেই কুটি মিয়ার সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আওয়ামীলীগের দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে চললে হত্যা, নির্যাতন ও পঙ্গুত্বের শিকার হতে হয় হাজার হাজার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদেরকে। নিম্নে সন্ত্রাসী কুটি মিয়ার বর্বরতার শিকার হওয়া কিছু বিবরন দেওয়া হলোঃ ১. নজায়েত মৌলবি মার্ডার ২. ডাবল মার্ডার (মুক্তার বিশ্বাস এবং সালেক মিয়া), খামারপাড়া। ৩. ইলাহি সর্দার মার্ডার, ছোনগাছা। ৪. হারিজ ফকিরের উপর বোমা হামলা। ৫. খামারপাড়ার শ্যাম ফকিরকে কুপিয়ে পঙ্গু করে দেওয়া। ৬. টুপিপাড়ার লালটু মিয়াকে কুপিয়ে জখম। ৭. খামারপাড়া জহুর ফকিরকে মেরে হাত ভেঙে দেওয়া ও নির্যাতন করে রক্তাত্ব জখম। ৮. দাইরপোল মার্ডার, ৯. দরিবিলা মার্ডার, ১০. শ্রীকোল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির ছেলে খাইরুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম। ১১. পূর্বশ্রীকোলের চান্দা চাচাকে কুপিয়ে পঙ্গু করে দেওয়া। ১২. বরিশাট গ্রামের রাসেল শেখকে ছোনগাছায় তার হুকুমে হত্যা। এমন অসংখ্য হত্যাকান্ড, নির্যাতনের মূল হোতা সন্ত্রাসী কুটি মিয়া। এমনকি কুটি মিয়ার নেতৃত্বে খামারপাড়া গোরস্থান মোড়ে মাগুরা পুলিশ সুপার মহোদয়কে অপমান করাসহ তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় সংসদ সদস্য এবং প্রশাসনের কাছে আমরা মাগুরাবাসী এই ভয়ংকর সন্ত্রাসী শ্রীকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুটির মিয়ার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসীকে মুক্ত করা এবং তার বর্বরোচিত কর্মকান্ডের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।