বিশেষ প্রতিনিধি\ দেশ মাতৃকার টানে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন মুন্সি নাজির আহম্মেদ। মুক্তিযদ্ধে অংশ নেওয়ার প্রমান পত্র রয়েছে তার কাছে,তবুও মেলেনি মুক্তিযোদ্ধার কোন ¯¦ীকৃতি।স্বাধীনতার ৫০বছর পার হওয়ায় সার্টিফিকেট ও প্রত্যায়নপত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ান সুশীল সমাজের উচ্চ পর্যায়ের মানুষের দ্বারে দ¦ারে ।মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের বেরইল গ্রামের ১৯৭১ সালে উত্তাল সময়ে রনাঙ্গন কাঁপানো একজন বীর যোদ্ধা। এখন ৭২ বছর বয়স মুন্সি নাজির আহম্মেদের।বৃহত্তর যশোর জেলার মহকুমার মাগুরার জয়ারামপুর,দিঘলকান্দি ,নহাটা,আলোকদিয়া,পুখুরিয়া,রাজাপুর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন তিনি। সরেজমিন দেখা যায়,বেরইল পলিতা ইউনিয়নের বেরইল গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি নাজির আহম্মেদ গেজেট নং ২০৯৫৮তারিখ ৮/৫/২০১৪ইং সহযোগী মুক্তিযেদ্ধাদের প্রমান পত্যায়ন পত্র রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় কর্তক প্রাপ্তি স্বীকার পত্র।ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কর্তক স্বাক্ষরীত সনদপত্র। সদর উপজেলার কমান্ডার জহুরই আলম স্বাক্ষরীত সনদপত্র।যার এনআইডি নং ৫৫১৫৭২৩৩০৪৩৮০ রাইফেল নং এমআইভি ৭৪ সি ২২৯৮ । ৮নং সেক্টর কমান্ডার মেজর আবুল মনজুর বাহীনিতে থেকে যুদ্ধে আংশগ্রহন করেন। এটাতে তার সকল প্রমান পায় ,সে একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা । কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় হলো সেই তালিকাটি আজও সেইভাবে পড়ে আছে মন্ত্রনালয়ে। মুন্সি নাজির আহম্মেদের মনে খুব আক্ষেপ দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে এত কিছু করার পর স্বীকৃতি টুকুও পেলামনা। সাহসী এই বীর যোদ্ধা সংসার ফেলে রেখে পরিবারের কথা চিন্তা না করে জীবনের মায়া ত্যাগ করে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলেন। দেশের জন্য এত বড় ত্যাগ স্বীকার করে ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও পর্জন্ত মেলেনি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। তাই মনে চরম কষ্ট নিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন তিনি। মৃত্যুর আগে তিনি দেখে যেতে চান সরকার তাকে যথাযথ স্থানে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিক।আক্ষেপ দেশের জন্য এত বড় ত্যাগের সময়টা অর্ধশত ৫০ বছর পেরিয়ে গেলো আজও মেলেনি মুক্তিযোদ্ধার কোনো স্বীকৃতি । তাই মনের ভিতর চরম কষ্ট নিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। মৃত্যুর আগে কি দেখে যেতে পারবেন তার এই ত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন করে বাংলাদেশ সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে এমন প্রশ্ন তার। এ বিষয়ে নাজির আহম্মেদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়ার দুঃখ প্রকাশ করেন এবং স্বীকৃতির জন্য জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশ রতœ শেখ হাসিনা প্রতি শ্রদ্ধাশীল যথাযথ সংশ্লিষ্টদের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেন ।