মাগুরা প্রতিনিধি :মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের বরিশাট গ্রামের নবাব নামে এক নিরীহ গরীব কৃষক কে গাংনালিয়া বাজার থেকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করছে সেনা সদস্য শাহীন আলম। গত শনিবার ১ জুলাই সন্ধ্যার সময় আঠারখাদা ইউনিয়নের গাংনালীয়া বাজারে শাহীন আলমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীর একটি দল এই জঘন্য অপরাধ কাজে লিপ্ত হয়। বরিশাট গ্রামের মোশাররফ হোসেন গান্ধীর পুত্র নবাব আলী (৪৫) এখন মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাহার অবস্থা খুব আশংকাজনক। এই নিয়ে এলাকায় চলছে চরম উত্তেজনা। কৃষক নবাব আলী জানান, বরিশাট গ্রামের আয়নাল কসাই এর পুত্র এই শাহীন আলমের (৩৫) অপকর্মের কথা সে একজন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনা সদস্য, ৩ বছর পূর্বে বিয়ে করছেন পপি খাতুনকে, তাহার সংসারে একটা মেয়ে সন্তান রয়েছে। এই শাহীন আলম বরিশাট গ্রামের মাদ্রাসার নিকট ডিস লাইনের কর্মচারী জাকিরের স্ত্রীর সাথে গভীর অবৈধ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত ৫-৬ মাস পূর্বে শাহীন আলমকে আমি বলি তুই সেনা সৈনিক পরের স্ত্রীর সাথে এসব করা ঠিক নয় এই নিয়ে গ্রামের অধিকাংশ লোকজন সমালোচনা করছে। এই কথা বলার পর শাহীন আলম আমার ক্ষিপ্ত হয়ে বলে আমার ব্যক্তিগত কাজে তুই হস্তক্ষেপ করিস তোকে আমি দেখে নিবো। আর এই বিষয়টির সূত্র ধরে সে আমাকে চাইনিজ কুরাল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে আঠারখাদা ইউনিয়নের গাংনালিয়া বাজার থেকে আমাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে। এ সময় তিনি বলেন প্রথমে চাইনিজ কুরাল দিয়ে বাজারের লেদের দোকানের সামনে থেকে শাহীন আলম কোপ দেয়, এরপর হাসান, হাবিব, তাজুল সহ আরও বেশ কয়েকজন আমার উপর হাতুড়ি দিয়ে অর্তকিত সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তিনি ক্রন্দনরত অবস্থায় বলেন আশা রাখি মাগুরা প্রশাসন দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে। সরেজমিনে শাহীন আলমের বাড়িতে গেলে তার চাচা ফারুক শেখ বলেন শাহীনের ফোন নম্বর আমার কাছে নাই এবং তার স্ত্রী পপি খাতুনের মোবাইল ফোন নম্বর দিলে সেটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে বরিশাট এলাকার অধিকাংশ মহিলা ও পুরুষ লোকজন এই সেনা সদস্য শাহীন আলমের বেপরোয়া দূর্ব্যবহার এবং নারীদের সাথে অশালীন আচরণের কথা গুলো অকপটে বলতে থাকে, আর তার কারণে এলাকার উঠতি বয়সী মেয়ে, ঘরের বৌ ও আত্মীয় বেড়াতে আসা মেয়ে ও মহিলারা আতংকিত অবস্থায় আছে। গ্রামের লাল চান শেখ, রহমত আলী, জলিল শেখ, মনোয়ারা বেগম, আতিয়ুল্লাহ, নুর মোহাম্মদ, মিনা, তহমিনা, শাপলা, রোকেয়া বলেন আমরা গ্রামবাসী এই শাহীন আলমের কাছে থেকে মুক্তি পেতে চাই এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ও মাগুরা জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই দুশ্চরিত্র ও অপরাধী সেনা সৈনিক শাহীন আলমকে আইনের আওতায় বিচার করে উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।