একইসঙ্গে আগামী ৬ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১০টায় সংশ্লিষ্ট আদালতে সশরীরে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শোকজ নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী শাহীন চাকলাদার গত ২৯ নভেম্বর যশোর থেকে শোডাউন করে গাড়ি বহর নিয়ে কেশবপুর প্রবেশ করেন এবং সেখানে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় অংশ নেন। তাতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। এতে জনসাধারণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন। যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
শোকজে আরও উল্লেখ করা হয়, ভোট গ্রহণের তিন সপ্তাহ আগে নির্বাচনী প্রচারণার আইন নেই। শাহীন চাকলাদার আগে থেকে প্রচারণা শুরু করে সে আইন ভঙ্গ করেছেন। শুধু তাই নয়, একইভাবে তিনি ৩০ নভেম্বর, ১ ডিসেম্বর ও ২ ডিসেম্বর পর্যায়ক্রমে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়ন, সুফলাকাটি ইউনিয়ন ও মজিদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন। যা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৬ (ঘ), ৮(ক), ১০(ক) এবং ১২ ধারার বিধান লঙ্ঘন হয়েছে বলে শোকজে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহীন চাকলাদার সাংবাদিকদের বলেন, আমি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। নির্বাচনী আচরণবিধি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা আছে। কেউ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে ভুল তথ্য দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখনও নোটিশ পাইনি, পেলে জবাব দেব।
এ বিষয়ে সিনিয়র নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা আনিচুর রহমান বলেন, যশোর-৬ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে শুনেছি। আমাদের কাছে এখনও সংশ্লিষ্ট কোনো পত্র আসেনি।
প্রসঙ্গত, শাহীন চাকলাদার আওয়ামী লীগের যশোর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বর্তমানে যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য। আসন্ন নির্বাচনে তিনি এ আসন থেকেই আবারও নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন।