: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় অধিনায়ক আকবর হোসেনের সবচেয়ে বিশ্বস্ত, সম্মুখ সমরের দুর্ধর্ষ বীরযোদ্ধা খোন্দকার আবু হাসানের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ, জাতীয়পার্টি, জাসদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার খামারপাড়ার বাসিন্দা আবু হাসান অনেকদিন ধরেই অসুস্থ হয়ে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলার দিঘীবরাবোতে নিজ বাসাতে অবস্থান করছিলেন। সেখানেই ৩ এপ্রিল বুধবার সকাল দশটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭০ বছর।
বীর মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার আবু হাসান মুক্তিযুদ্ধের সময় খুবই সাহসী ভূমিকা পালন করেন। তিনি অধিনায়ক আকবর হোসেনের অত্যন্ত বিশ্বস্ত একজন যোদ্ধা হিসেবে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ নেন। অধিনায়ক আকবর হোসেনের নির্দেশে শ্রীপুর ও শৈলকূপার বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে হিন্দু পল্লীতে লুটপাটকারী ও রাজাকারদের দমনে তিনি সাহসী ভূমিকা রাখেন।
মাগুরা মহকুমা ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা আবু হাসানের পুরো পরিবারই মুক্তিযুদ্ধে ‘আকবর বাহিনী’ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। তার বাবা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজায়েত আলী, চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজায়েত আলী ছিলেন অধিনায়ক আকবর হোসেনের অন্যতম সহচর ও পরামর্শ দাতা।
৭ মার্চ মাগুরা মুক্ত দিবসে অধিনায়ক আকবর হোসেনের নির্দেশনায় মিত্রবাহিনীর ট্যাংকে অবস্থান নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হাসান তাদের রাস্তা চিনিয়ে কামারখালী ঘাটে নিয়ে যান। আমৃত্যু এই দুর্ধর্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ভীষণ নিভৃতচারী। মৃদুভাষী, নিরংহকার আবু হাসান ছিলেন আজীবন মুজিব অনুসারী। তাঁর মৃত্যুতে জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরি কমিটির সদস্য জাহিদুল আলম, অধিনায়ক আকবর হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিঞা কুটিসহ বিভিন্ন সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
বুধবার তাঁর মরদেহ নিজ গ্রাম শ্রীপুরের খামারপাড়াতে নিয়ে আসার পর তারাবীহ নামাজ শেষে খামারপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।