• Mon. May 13th, 2024

Basic News24.com

আমরা সত্য প্রকাশে আপোষহীন

মাগুরা বেঙ্গা বেরইল গ্রামের এক গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ

Bybasicnews

Apr 28, 2024
মাগুরা  প্রতিনিধি :
  মাগুরা  সদর উপজেলার বেঙ্গা বেরইল গ্রামের এক গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল বিকাল ৫.৩০ টার সময়ে গাছ থেকে ডাব পাড়া নিয়ে ব্যাঙ্গা বেরইল (বাগেরহাট পাড়া) গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ বৃষ্টি খাতুন (২৫) কে মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য শারীরিকভাবে মারধরের শিকার হতে হয়েছে।
আহত বৃষ্টি খাতুন জানান, আমার কন্যা জিনিয়া খাতুন ডাব খেতে চেয়েছিলো তখন তিনি তার গাছ থেকে ডাব পাড়ে কিন্তু আব্দুল বক্কার মিয়ার স্ত্রী রমেছা বেগম (৪২) বলে তুই আমার নারকেল গাছ থেকে ডাব পেড়েছিস। যেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে আমার উপর। এরপর বৃষ্টি খাতুনের উপর আব্দুল বক্কার মিয়ার পুত্র আহাদ আলী (২২) চোখে আঘাত করে, সিরাজ মিয়ার ২ পুত্র আব্দুল বক্কার মিয়া (৫৩) ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে, মোঃ লোকমান মিয়া (৬৫) কচার ডাল দিয়ে হাতে আঘাত করে, লোকমান মিয়ার ২ পুত্র কামাল মিয়া (৪০) বাঁশ দিয়ে হাতে ও পায়ে আঘাত করে এবং মিরাজ মিয়া (৩২) বকসিন দিয়েছে বুকে। বৃষ্টি খাতুন আরও জানায় সকলে মিলে আমার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ সহ স্পর্শ কাতর জায়গায় আঘাত করেছে।
আমার গলায় পরিহিত স্বর্ণের চেন ও হাতের আংটি কেড়ে নিয়ে চলে যায়। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য বাগেরহাট পাড়া এলাকার মোঃ দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৪৫) বলেন, আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মেয়ে বৃষ্টি খাতুনকে ঘটনার ঐ দিন রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মাগুরা সদর থানায় মামলা বা অভিযোগ করতে গেলে দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার জানান ওসি থানায় নেই এবং আপনারা মাগুরা আদালতে মামলা করেন। আর যারা বৃষ্টি খাতুনের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা ও মারধর করেছে তারা হুমকি প্রদর্শন মূলক কথা বলেছে যে থানায় মামলা করলে বৃষ্টি সহ তার পরিবারের সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলবো। বৃষ্টি খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, আমি আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য মাগুরা পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি ও সাহায্য কামনা করছি এবং মাগুরা সদর থানার দায়িত্বরত অফিসার ইনচার্জ আমার অভিযোগ মামলা নিয়ে প্রকৃত দোষী ও অপরাধীদের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা কামনা করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *