আওয়ামী লীগ জমানাতে হঠাৎ করেই কীভাবে যেন আন্ডা অর্থাৎ ডিম হররোজ সংবাদ শিরোনাম হতে থাকল। জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে খানবাহাদুর রায়বাহাদুর ইত্যাদি রাজকীয় উপাধির মতো আন্ডা শব্দটি শোভা পেতে থাকল এবং আন্ডার দাপটে বালুমহাল থেকে গরুর বাজার, ফেনসিডিল থেকে টেকনাফ সীমান্তের ইয়াবা কিংবা কক্সবাজারের ফাইভ স্টার হোটেল ব্যবসা থেকে শুরু করে ঢাকা-দুবাই স্বর্ণ চোরাচালান রীতিমতো শিল্পে পরিণত হলো। আন্ডার এত্ত সব বিজয় এবং সফলতার মূলে ছিল বিরাট এক ডান্ডা অর্থাৎ লাঠি। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনী প্রধান যখন আন্ডা মিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু-সাথি বা আশ্রয়দাতা এবং ব্যবসায়িক অংশীদার হলো তখন তাদের জন্য অর্থাৎ আন্ডার ডান্ডার জন্য একের পর এক খুলে যা হেম ছেমের মতো অর্থবিত্ত ভোগবিলাস, কামনাবাসনা, লোভলালসার পাহাড় রচিত হতে থাকল এবং আওয়ামী সরকারের পতনের রাস্তা প্রশস্ত হতে থাকল।