• Thu. May 2nd, 2024

Basic News24.com

আমরা সত্য প্রকাশে আপোষহীন

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না : তথ্যমন্ত্রী

Bybasicnews

Mar 16, 2023

 অনলাইন ডেস্ক

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার কোনো প্রশ্নই আসে না। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবে বর্তমান সরকার।

বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক দুটি গ্রন্থমোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন শেখ হাসিনার অধীন নির্বাচন কিংবা কোনো সংলাপে যাবে না। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে না।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) আওয়ামী লীগের অধীন নির্বাচনে যেতে চাইলেও সেই সুযোগ নেই। আর তাদের আমরা সংলাপে ডাকিনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সংলাপের দরকার নেই। আমরা তাদের সংলাপে ডাকিনি। কাজেই আমরা ডাকলে তারা বলতে পারতো, সংলাপে যাবে কি-যাবে না।

জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বাণিজ্য করে বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন। সে বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত নির্বাচনে ৩০০ আসনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছিল ৯০০টি। দেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রথমে দেখলাম একজন মনোনয়ন পেয়েছেন। পরে দেখি, সেটি উল্টে গেছে। আরেকজন পেয়েছেন। তারপর দেখলাম ধানের শীষ বিক্রি করে দিয়েছে। অর্থাৎ এলডিপিকে দিয়ে দিয়েছে। ধানের শীষ এলডিপিকে দেওয়ায় বিএনপির নারী কর্মীরা ঝাড়ু মিছিল করেছে। এ দৃশ্য আমার নির্বাচনী এলাকাতেই।

তিনি বলেন, গত নির্বাচনে সব আসনেই বিএনপি এভাবে মনোনয়ন বেচা-বিক্রি করেছে। একটি মনোনয়ন দেন তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেনটি আরেকটি, রুহুল কবির রিজভীও দেন একটি। এরপর তিনজনের টানাটানিতে যেটি টিকে, সেটি হচ্ছে চূড়ান্ত। এগুলো তাদের নির্বাচনে খারাপ ফল করার পেছনে বড় প্রভাব ফেলেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দলে (আওয়ামী লীগ) পরীক্ষিত নেতাকর্মী যাদের জনপ্রিয়তা আছে, তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়। ১৯৯১ সালে অনেকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নেওয়ার জন্য ছুটে গিয়েছিলেন, কিন্তু না পেয়ে বিএনপিতে গেছেন। পরে তারা বিএনপির মন্ত্রীও হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ একটি আদর্শিক দল। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আমলা কিংবা বড়ো ব্যবসায়ীদের আমরা মনোনয়ন দেই না। অনেকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপিতে গিয়েছিল। যাদের মধ্যে এমকে আনোয়ারসহ আরও বেশ কয়েকজন আছেন। তারা মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন। পরে মন্ত্রী হোন। ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের চর্চা বিএনপিই করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *